প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩১ আগষ্ট : গ্রাহকের আজান্তেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গেল তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় । ঘটনার বিহিত চেয়ে কালনা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কালনার মধূবন পাড়া নিবাসী বিডিও অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ দাস। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশকে ধীরেন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন ,বিডিও অফিস থেকে অবসর গ্রহনের পর তিনি একাকালীন ২ লক্ষ টাকা পান । ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট ওই ২ লক্ষ টাকা তিনি কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে গচ্ছিত রাখেন । ২০২৩ সালের ১৯ আগষ্ট ছিল ফিক্সড ডিপোজিটের ম্যাচিউরিটি ডেট। ধীরেন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন,তাঁর ছোট মেয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে । মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর টাকার প্রয়োজন হয় । সেই কারণে মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ার আগেই চলতি মাসের ১৬ তারিখ তিনি ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে যান । তখনই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেয়, ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটেও ‘ক্লোজ’ বলে লিখে দেয় । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমনটা জানিয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়ে যায় ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর । তিনি নিশ্চিত হন জালিয়াতি করে কেউ তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরেই ধীরেন্দ্রনাথ বাবু ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে কালানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আক্ষেপ প্রকাশ করে ধীরেন্দ্রনাথ দাস এদিন জানান, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে জীবনের সঞ্চয়টুকু জমা রেখে এইভাবে ঠকতে হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেন নি । এখন অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা কীভাবে করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না । রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ মজুমদার জানান,লিখিত অভিযোগ মাধ্যমে তাঁকে কেউ কিছু জানাননি । লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন ।।