এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৭ আগস্ট : দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় দেখা যায়নি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ ও প্রাক্তন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিকে । একে রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে একটি বাংলা সংবাদপত্রে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল । যার মধ্যে গত ২৫ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে সরাসরি দিলীপ ঘোষকে কোট করা হয়েছিল । “দলবদলু নেতারা মঞ্চ আলো করে থাকায় মোদির সভা ফাঁকা, বিস্ফোরক দিলীপ” শীর্ষক ওই প্রতিবেদনটি “সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা” বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ । তিনি অভিযোগ করেছেন যে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার ‘ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা’ করেছে ওই সংবাদপত্রটি ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় তাঁর আমন্ত্রণ ছিল না। কিন্তু মঞ্চে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং, তাপস রায়দের মতো তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতারা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির প্রাত্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘এই সব দলবদলু নেতারা মঞ্চ আলো করে বসে থাকাতেই প্রধানমন্ত্রীর দমদমের জনসভা কার্যত ফাঁকা ছিল। সব মিলিয়ে হাজার পাঁচেক লোক এসেছিল। যা ভাবাই যায় না!”
আরো লেখা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ না থাকায় শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে ধর্মগুরু রবিশংকরের আশ্রমে চলে যান দিলীপ। সেখান থেকে ফিরে রবিবার ফের স্বমহিমায় খুল্লামখুল্লা শব্দচয়নে নব্য বিজেপিকে বিঁধেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় লোক না হওয়া নিয়ে তীব্র ভাষায় তোপ দেগে দিলীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে কারা ছিলেন ? ভালো করে দেখবেন, সবকটা দলবদলু। শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অর্জুন সিং, সজল ঘোষ….. আর ক’টা নাম বলব! এঁরা বিজেপি? এঁদের দেখে মানুষ বিজেপি করতে আসবেন? এঁদের বিরুদ্ধেই তো বিজেপি লড়াই করেছিল। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কার্যত ফাঁকা থেকেছে।”
২০২৬-এ দলের সাফল্যের সম্ভাবনা কতটা ? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষকে কোট করে লেখা হয়েছে, “খুব খারাপ, খুব খারাপ। লড়াইটা হতে চলেছে ২০২১-এর আসন ধরে রাখার লড়াই। সেটাও এখন দূর অস্ত মনে হচ্ছে।” প্রতিক্রিয়ায় আজ “অফিস অফ দ্য দিলীপ ঘোষ” ফেসবুক পেজে ওই প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে । যেখানে পোস্টারের আকারে লেখা হয়েছে, “সংবাদ প্রতিদিন এই যে খবরটি প্রচার করেছে এটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা৷ এই ধরণের কোনও কথা কাউকে বলা হয়নি। এই ধরণের মিথ্যা খবর প্রচার করে শ্রী দিলীপ ঘোষের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যারা নিজেদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে দাবি করে তাদের এই মিথ্যাচারের জবাব সমাজ নিশ্চই দেবে।”
কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের প্রায় দু’দিন পর দিলীপ ঘোষ কেন বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ করলেন ? এই প্রশ্নও উঠছে । যদিও এই সংবাদপত্রের তরফে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো সাফাই দেওয়া হয়নি ।।

