এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,২৩ আগস্ট : শুধুমাত্র ফোন যাতায়াতের জন্য বাড়িতে একটা অল্পদামের কিপ্যাড ফোনের দরকার ছিল । একদিন ফেসবুক সার্চ করতে করতে হঠাৎ একটা লোভনীয় অফার নজরে পড়ে প্রৌঢ়ের । হাজার তিনেক টাকার ফোনের মূল্য ধার্য্য করা হয়েছে মাত্র ৭৫০ টাকা । অন ডেলিভারি পেমেন্ট । অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে দেখে কালবিলম্ব না করে অর্ডার করে দেন প্রৌঢ় । ফোনে ঠিকানাও চাওয়া হয় । কিন্তু আজ শনিবার কুরিয়ারে আসা পার্সেল খোলার পর হতবাক হয়ে যান তিনি । কারন ফোনের পরিবর্তে তাকে সাদা কাগজে মোড়া তিনটে মাটির প্রদীপ পাঠিয়ে দিয়েছে ওই কথিত অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানি । জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার ঘটনা । প্রতারিত প্রৌঢ়ের নাম শীতল প্রসাদ গোপ ।
জানা গেছে,জলপাইগুড়ি পুরসভার আট নম্বর এলাকার নয়াবস্তির বাসিন্দা শীতল প্রসাদ গোপ । কেবল অপারেটরের ব্যবসা করেন । শীতলবাবু বলেন,’আমি দিন দশেক আগে ফেসবুক থেকে একটা ছোট ফোন অর্ডার করেছিলাম । আজকে পার্সেল এসেছে । আমি ডেলিভারি বয়কে ফোনের মূল্য বাবদ ৭৫০ টাকা মিটিয়ে দিয়ে পার্সেল নিয়ে নিই । তারপর ওর সামনেই পার্সেল খুলি । খোলার পর দেখা যাচ্ছে যে কয়েকটা মাটির প্রদীপ আর কিছু সাদা কাগজ রয়েছে । কোনো ফোন নেই ।’ তিনি বলেন,’একটা নম্বরে আমি যোগাযোগ করেছিলাম । আজ সকালে পার্সেলে ভিতরে মোবাইল না পেয়ে আমি ফের ওই নম্বরে ফোন করি । তখন বলছে সুইচ অফ ।’ হতাশ শীতলবাবু বলেন, ফেসবুকে অর্ডার করে আমার যা শিক্ষা হলো তাতে সাধারণ মানুষকে আমি বলব যে তারা যেন ভবিষ্যতে ফেসবুক থেকে কোন অর্ডার না করেন ।’
সংশ্লিষ্ট ক্যুরিয়র কোম্পানির ডেলিভারি বয় মহম্মদ রহিম বক্সিরও প্রৌঢ় শীতলবাবুর অবস্থা দেখে মন খারাপ হয়ে যায় ৷ তিনি দীর্ঘক্ষণ তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন । সংবাদমাধ্যমে কাছে রহিমবাবু বলেন, ‘ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিংয়ের নামে প্রতারণা বেশি হয় । আমি পার্সেল ডেলিভারি দিতে গিয়ে এমন অনেককে প্রতারিত হতে দেখেছি । তবুও মানুষ কেন যে ফেসবুকে জিনিসপত্র অর্ডার করে জানিনা ।’ তবে প্রতারিত হওয়ার পরেও শীতল প্রসাদ গোপকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে তেমন আগ্রহী দেখা যায়নি ।।

