এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,২২ আগস্ট : শিলিগুড়ি করিডোর হল খুবই সরু,অনেকটা মুরগীর গলার মত দেখতে বলে এই পরিসরকে “চিকেনস নেক” বলা হয় । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের চারপাশে একটি প্রসারিত ভূমি । মাত্র ২০-২২ কিলোমিটার এই রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক করিডোরটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে ভারতের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করে। এই চিকেন নেক নিজেদের কব্জায় এনে গ্রেটার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি । আজ শুক্রবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এই “চিকেনস নেক” নিয়ে বাংলাদেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের উন্মোচন করেছেন । তিনি বলেছেন,’বাংলাদেশ ভিত্তিক কিছু মৌলবাদী তাদের মৌলবাদী মতাদর্শকে আরও শক্তিশালী করার জন্য, যারা সেই দেশ থেকে এসে এখন ভারতের চিকেন নেক করিডোরে বসতি স্থাপন করেছে, এলাকার মুসলিমদের তাদের উস্কে দিচ্ছে। এটি একটি বিপজ্জনক গেম প্ল্যান।’
তিনি আরো বলেন,’চিকেনস নেকের সমগ্র ২২ কিমি এলাকায় যারা বসবাস করে তারা সমস্ত বাংলাদেশ থেকে এসেছে । যারা ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে সেখানে বসবাস করছে । তারা এখন ভারতীয় বনে গেছে । এখন মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত করছে । এটা খুব ভয়ঙ্কর প্রবণতা ।’
https://twitter.com/himantabiswa/status/1958743778132418729?t=zXITrsDxJ6xlKTJ3c50Hqw&s=19
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (২২ আগস্ট ২০২৫) বিহারের বোধগয়ায় ১৩০০০ কোটি টাকার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটা বড় ঘোষণা করেছেন । ‘বিহারে জনসংখ্যার পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,’বিহারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অনুপ্রবেশ বাড়ছে। আমরা অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয়দের অধিকার লুট করতে দেব না। আমি ডেমোগ্রাফি মিশন শুরু করেছি । আমরা দেশ থেকে প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দেব । কংগ্রেস এবং আরজেডির মতো দলগুলি বিহারের দরিদ্রদের অধিকার কেড়ে নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী গয়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ৮.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আঁথা-সিমারিয়া সেতু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে গঙ্গা নদীর উপর ১.৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের সেতুও অন্তর্ভুক্ত, যা ১,৮৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত।এর পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী গয়া-দিল্লি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস এবং বৈশালী-কোডারমা বৌদ্ধ সার্কিট ট্রেনের সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ১২,০০০ দরিদ্র মানুষের হাতে তাদের বাড়ির চাবি তুলে দেন। এর সাথে বক্সারে ৬,৮৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার জন্য মুজাফফরপুরে হোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। এই হাসপাতালটি আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নির্মিত হয়েছে। এখন বিহারের মানুষকে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মেট্রো শহরে যেতে হবে না। এর পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী আজ কলকাতায় কলকাতায় ৫,২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।।

