এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ আগস্ট : তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জিকে ‘পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে বড় ডাকাত’ বলে অবিহিত করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি আরও বলেছেন,’নতুন বিল আইনে পরিনত হওয়ার পর একবার জেলে ঢুকলে দু’বছর বেরোনোর কোন সিন নাই ।’
আসলে,সারদা দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অভিষেক ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গেছে । হাইকোর্ট প্রটেকশন দিয়ে রেখেছে । কার কথায় ?’ আজ বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার লেবুতলা পার্কে আয়োজিত আগামী ২২ শে অগস্ট দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার সমর্থনে পথসভা যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক ব্যানার্জির ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেছেন,’উনি পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে বড় ডাকাত । সেটা উনি জানেন এবং ওনার পরিবারের অনেকেরই সম্পত্তি ইডি ইতিমধ্যে সিজ করেছে । মোট ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি । অনেকের অ্যাকাউন্ট সিজ করেছে । লিপস এন্ড বাউন্সে উনার পরিবারে একাধিক সদস্য যুক্ত । অমিত ব্যানার্জি, লতা ব্যানার্জি, রুচিরা ব্যানার্জি(অভিষেকের স্ত্রী),অনেকেই লিপস এন্ড বাউন্স-এর ডিরেক্টর । যে লিপস এন্ড বাউন্স এর মাধ্যমে কালীঘাটের কাকু থেকে শুরু করে কত টাকা লেনদেন হয়েছে তা চার্জশিটে অনেকবার উল্লেখ হয়েছে ।’
তিনি বলেন,’স্বাভাবিকভাবে উনি নিজের এবং পরিবারের কথা ভেবে আতঙ্কিত৷ ২০১১ সালের পর যাদের এনে বসলাম তাদের কি হবে,এসব ভেবে উনি আতঙ্কিত ।’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন,’জেলে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন । পার্থ, বালু ৩০ দিনের বেশি থেকেছে । এদের বিরুদ্ধে পিএমএলএ যে সেকশন গুলো আছে, ঢুকলে দু’বছর বেরোনোর কোন সিন নাই । এই আতঙ্ক থেকে এসব করছে ৷ ভবিষ্যৎ অন্ধকার । ভাবছে পিসি চলে গেলে আমি বসবো । কিন্তু এই বিল পাস হয়ে গেলে তো পিসিরও কিছু হবে না আমারও কিছু হবে না ।’
প্রসঙ্গত,’আজ বুধবার লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে সেই বিল । বিলটি আইনে পরিনত হলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা ফৌজদারি মামলায় কারাগারে যাওয়া মন্ত্রীরা তাদের পদে থাকতে পারবেন না। প্রস্তাবিত আইনের বিধান অনুসারে, যদি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীকে ফৌজদারি মামলায় ৩০ দিনের জন্য গ্রেপ্তার বা আটক রাখা হয় যার ফলে পাঁচ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে, তাহলে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে । এই বিলে তীব্র বিরোধিতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেন অভিষেক ব্যানার্জি ।।

