এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম,১৮ আগস্ট : গত বছরের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশের জিহাদিদের কতটা চাপের মুখে আছে সে দেশেই হিন্দুরা ফের একবার তার প্রমান পাওয়া গেল । বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক রন্টু দাস সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন । এখন জানা যাচ্ছে যে রন্টু দাসকে দুটি বিকল্প দিয়েছিল হিযবুত, জামাত ইসলামি ও বিএনপির জঙ্গিরা । তারা শর্ত দিয়েছিল : হয় ইসলাম গ্রহণ করতে হবে, নচেৎ চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে । শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নিয়েছেন কলেজ শিক্ষক রন্টু দাস ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রন্টু দাসকে অলিখিতভাবে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তিনি হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন, নয়তো চাকরি থেকে ‘স্বেচ্ছায় পদত্যাগ’ করার মুচলেকা দিন । এই দুটি বিকল্পের মধ্যে থেকে তাকে একটি বেছে নেওয়ার ‘চয়েস’ দিয়েছিল জিহাদিরা ।রন্টু দাস তাঁর স্বধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং দ্বিতীয় বিকল্পটি, অর্থাৎ চাকরি থেকে পদত্যাগের পথটি বেছে নেন। এদিকে বিভিন্ন মহলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনাকে জোর করে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর সংখ্যাগুরু মুসলিমদের সফট টার্গেট হয়ে গেছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা । দেশকে হিন্দুশুণ্য করতে মহম্মদ ইউনূসের সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে “লাভ জিহাদ”কে উৎসাহিত করছে । এছাড়া হিন্দুদের ঘরবাড়ি, জমিজায়গা ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হয় জোর করে নচেৎ ভুয়ো দলিলের জোরে দখল করে নেওয়া হচ্ছে৷ পাশাপাশি ভিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে শুর করে স্কুলকলেজে কর্মরত হিন্দু কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে ৷ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক রন্টু দাসের মত একই ধরনের পরিস্থিতি আরও কতজন হিন্দু শিক্ষক বা অন্য পেশার ব্যক্তির সাথে এই ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর চাপ সৃষ্টি ও নির্যাতনের এমন একাধিক অভিযোগ উঠছে, যা দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহাবস্থানের পরিবেশ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট মহলের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।।

