এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগণা,১৭ আগস্ট : পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই । এবারের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার অপরাধে এক তরুণীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার আমঝাড়া মোড়ে । দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ভাইও । বর্তমানে তিনজনই কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
জানা গেছে, কলকাতার একটি নার্সিং কলেজ থেকে নার্সিং পাশ করেছেন সুস্মিতা মণ্ডল নামে ওই তরুনী । পরে তিনি বারাণসীতে একটি হাসপাতালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন । হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনি । তাদের বাড়ির পাশেই বাড়ি বিশ্বজিৎ খাঁর । সে বাসন্তী থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত । বিশ্বজিৎ তরুনীকে মনে মনে ভালোবাসতেন । বিয়ে করার জন্য কয়েকদিন ধরে ফোন করে বিশ্বজিৎ বিরক্ত পড়ছিল বলে অভিযোগ তরুণীর । কিন্তু তিনি বিশ্বজিৎকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং ফোন করতে নিষেধ করে দেন । আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সে তরুনীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,শুক্রবার ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তরুনী । দিদিকে বাড়িতে আনতে রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন ভাই । রেলস্টেশন থেকে দিদি ও ভাই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন । কিন্তু তারা আমঝাড়া মোড়ে এলে সেই সময় বিশ্বজিৎ খাঁ একটা কাটারি নিয়ে তরুণীর উপর হামলা চালিয়ে দেয় । তাঁর গলায় ও হাতে কাটারির কোপ বসিয়ে দেয় বিশ্বজিৎ । তরুনীর ভাই বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপায় সে। ভাই-বোন দু’জনেই যখন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন, তখন পকেট থেকে বিষ বের করে খেয়ে নেয় বিশ্বজিৎ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকেই উদ্ধার করে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় ।
যদিও সিভিক ভলেন্টিয়ারে পরিবারের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল । বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বজিতের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই তরুণী । পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত কাটারিটা উদ্ধার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে ।।