এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১৬ আগস্ট : জম্মু- কাশ্মীরে ভাঙা বৃষ্টিতে অনেক পূণ্যার্থীদের হতাহতের ঘটনার পর পাকিস্তান ও ভারতের কিছু জিহাদি মানসিকতার মানুষ উল্লাস প্রকাশ করছিল । সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মুসলিমদের উপর কথিত অত্যাচারের জন্য তাদের আল্লাহের রোষের বহিঃপ্রকাশ বলে বর্ণনা করেছিল ৷ এখন সেই একই ভাঙা বৃষ্টির কারনে ২০০ জন পাকিস্তানির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে ।
জানা গেছে,অতিভারী বৃষ্টিতে ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে । বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান সামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুজন পাইলট সহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন বলে খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে।অন্যদিকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভূমিধ্বসে আটজন নিহত হয়েছেন এবং নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকে পড়েছে বলে জানা গেছে ।
সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলায় মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির ফলে ভূমিধ্বসে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৭টি দেহ উদ্ধার করা গেছে ।বুনেরের ডেপুটি কমিশনারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে, মাত্র ৭৮টি দেহ হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দেহগুলো হাসপাতালে বহন করে নিয়ে আসা যায়নি।এর মধ্যে শুধু গাডেজি তহশিলেই মারা গেছে ১২০ জন। চাঘারজাই তহশিলে একটি ভবন চাপা পরে একই পরিবারের ২২ জন সদস্য মারা গেছে । উদ্ধার- কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন হিগুকান্দ এবং পীর বাবা এলাকায় বন্যায় বহু নারী ও শিশু আটকে পড়েছে। আল মদিনা নামের একটি হোটেল সম্পূর্ণ ভেসে গেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়াতে ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পাকিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২জন শিশু রয়েছেন।।