এইদিনবিনোদনডেস্ক,১৫আগস্ট: শেখ হাসিনার সমর্থক হওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশি অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা শমী কায়সারকে । তার বিরুদ্ধে দুই পৃথক হত্যাচেষ্টার মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল । গত ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার পর এযাবৎ তিনি জেলে ছিলেন । অবশেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করলে বৃহস্পতিবার (আগস্ট) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ি থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা দুটি পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে । যে মামলায় শমী জামিন পেয়েছেন, সেটির অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট টঙ্গী সরকারি কলেজের ওই ছাত্র জুবায়ের হাসান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছিলেন । আন্দোলনের সময় উত্তরা পূর্ব থানার আজমপুর এলাকায় মিছিল চলাকালে হামলাকারীদের ছোড়া গুলির একটি তার বাঁ কাঁধে লাগে। পরে চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিনি। এরপর ২২ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০-২০০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জুবায়ের। নাম উল্লিখিত আসামির তালিকায় যেখানে শমী কায়সারের নাম ছিল । যদিও ওই জিহাদি ছাত্র অভিনেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থক হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল। ফলে অভিনেত্রীকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয় ।
পরে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এএসএম আবদুল মবিন ও বিচারপতি মহম্মদ জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে জুবায়ের হাসান ইউসুফ হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন দেন। উভয় মামলায় জামিন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় আদালতের আদেশ অনুযায়ী কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।।