এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৪ আগস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন জহুর আহমেদ ভাট এবং খুরশিদ আহমেদ মালিক নামে দুই ব্যক্তি । জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের আবহেই এই মামলা দায়ের হয়েছিল। তাদের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা না-দেওয়ার ফলে নাগরিক অধিকারের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে । জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবির সপক্ষে তাদের যুক্তি ছিল,বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে । তাই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই দু’মাসের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক । আজ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল । সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার সময় স্থল পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত ।
ওই দু’জন ছাড়াও এই সংক্রান্ত একাধিক আবেদনের আজ শুনানি করে প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) বিআর গাভাই এবং কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ সিজেআই বলেন, “পহেলগামে যা ঘটেছিল তা আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন না।” কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে বলেন যে সরকার বিধানসভা নির্বাচনের পরে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দিলেও, সেখানে একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি রয়েছে। মেহতা এই বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা নেওয়ার জন্য আট সপ্তাহের সময়ও চেয়েছিলেন । এরপর, শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে আট সপ্তাহের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের আবেদনের জবাব দিতে বলে।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, ৩৭০ ধারার মূল বিধান বাতিলের পর, পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয় – জম্মু ও কাশ্মীর আইনসভা এবং লাদাখ ।।