এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৪ আগস্ট : রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বাঁচাতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে “ভোট চুরি’র মিথ্যা অভিযোগ তুলে ব্যাপক উৎপাত শুরু করে দিয়ে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস,তৃণমূল কংগ্রেস,বামপন্থী, সমাজবাদী পার্টি,জেডিইউ-এর মত ইন্ডি জোট । তাদের উদ্দেশ্যে একটাই -কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু করেছে তা বানচাল করা৷ ইতিমধ্যেই বিহারে ৬৫ লাখ নাম বাদ গেছে ভোটার তালিকা থেকে । অনুপ্রবেশকারীদের ” করিডোর” বলে কুখ্যাত পশ্চিমবঙ্গে অন্তত দেড় কোটি এমন ভুতুড়ে ভোটার আছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি । সাম্প্রতিক একটি গবেষণাতেও এই ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে । যারা প্রধানত ইন্ডি জোটের ভোটার বলে বিবেচিত । এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে মশগুল রাহুল গান্ধী কমিশনের বিরুদ্ধে “ভোট চুরি’র মিথ্যা অভিযোগ তুলে শরিক দলগুলিকে নিয়ে এসআইআর বানচাল করতে আসরে নেমে পড়েছেন ।
এদিকে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অব্যাহত আক্রমণের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নির্বাচন কমিশন আজ বৃহস্পতিবার বলেছে যে ‘ভোট চোর’-এর মতো নোংরা বাক্যাংশ ব্যবহার করে মিথ্যা বর্ণনা তৈরি করার পরিবর্তে প্রমাণ সরবরাহ করা উচিত।
নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে যে ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ আইন ১৯৫১-১৯৫২ সালের প্রথম নির্বাচন থেকেই কার্যকর রয়েছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই ভারতের সকল ভোটারকে ‘চোর’ হিসেবে বর্ণনা করার পরিবর্তে, যদি কোনও প্রমাণ থাকে যে কোনও ব্যক্তি কোনও নির্বাচনে দুবার ভোট দিয়েছেন, তাহলে তা হলফনামা সহ নির্বাচন কমিশনের সাথে ভাগ করে নেওয়া উচিত । নির্বাচন কমিশন বলেছে যে ‘ভোট চোর’-এর মতো নোংরা বাক্যাংশ ব্যবহার করে ভারতীয় ভোটারদের জন্য একটি মিথ্যা আখ্যান তৈরির চেষ্টা কেবল কোটি কোটি ভারতীয় ভোটারের উপর সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং লক্ষ লক্ষ নির্বাচনী কর্মীর সততার উপরও আক্রমণ।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী গত সপ্তাহে কিছু ভুয়ো তথ্য উদ্ধৃত করে অভিযোগ করেছেন যে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনে এক লক্ষেরও বেশি ভোট ‘চুরি’ করা হয়েছিল, যার ফলে একজন কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হন। নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে তার অভিযোগের বিষয়ে একটি স্বাক্ষরিত হলফনামা দাখিল করতে বলেছিল। কিন্তু মিথ্যাচার ধরা পরার ভয়ে রাহুল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কমিশনের কাছে কোনো স্বাক্ষরিত হলফনামা দাখিল করবেন না । এদিকে একের পর এক মিথ্যা তথ্য পেশ করে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রারা নিজের জালেই ফেঁসে গেছেন।।