শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ আগস্ট : বামফ্রন্ট আমলে শ্মশান নির্মানের কাজ শুরু হয়েছিল । তারপর রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় । কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মৃতদেহ দাহ করার একমাত্র শ্মশানের অসম্পূর্ণ কাজ আর শেষ হয়নি । আজ বুধবার শতাধিক ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী পঞ্চায়েতে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । পাশাপাশি অবিলম্বে শ্মশানের রাস্তা ও চুল্লিঘর নির্মাণের দাবিতে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দেয় ।
জানা গেছে,সাহেবগঞ্জ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাহেবগঞ্জ খুটিডাঙ্গা, হলদি ডাঙ্গা, নামাপাড়া, বাতানগোড় এই চারটি পাড়া মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা । সব মিলিয়ে কয়েকশো আদিবাসী পরিবারের বসবাস । সাহেবগঞ্জ সংলগ্ন সড়ক পথ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে রয়েছে আদিবাসী গ্রামগুলির মৃতদেহ দাহ করার একমাত্র শ্মশান । শ্মশানে যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা নেই। আলপথ দিয়েই মৃতদেহ নিয়ে যেতে হয় । নেই কোনো চুল্লিঘরও । ফলে বর্ষায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে দেহ সৎকার করতে গিয়ে চুড়ান্ত নাকাল হতে হয় পরিবার পরিজন ও গ্রামবাসীদের । রাজ্যে বামফ্রন্টের আমলে ওই শ্মশানে চুল্লি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জটিলতার কারনে নির্মাণ কাজ কিছুটা হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি,পরবর্তী সময়ে জায়গার সংক্রান্ত বিষয় সমাধান হলেও নির্মাণ কাজ আর শুরু হয়নি ।
এদিকে রাজ্যে পালাবদল হয় । কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতার বদল হলেও সাহেবগঞ্জের আদিবাসীসের একমাত্র শ্মশানের বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি । দীর্ঘ প্রায় দু’দশের অধিক সময় ধরে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই পড়ে আছে । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একাধিকবার সাহেবগঞ্জ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হলেও শ্মশান যাওয়ার রাস্তা ও শ্মশানএর চুল্লি ঘর নির্মাণ হয়নি । এ বিষয়ে সাহেবগঞ্জ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জিত মল্লিক জানিয়েছেন, শ্মশান যাতায়াতের রাস্তা ও চুল্লি ঘর নির্মাণ খুবই প্রয়োজন। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে সমস্যা মেটানো যায় তা আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।।