এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ আগস্ট : কলকাতা বন্দর এলাকার ১৭০.৪ একর জমি ৭০৬ জন মিলে জবরদখল করে আছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য । রাজ্যসভায় “কলকাতা বন্দরের জমি সম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করা” শীর্ষক তার প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল এবং জলপথ মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে বলে জানান তিনি৷ প্রশ্ন-উত্তরের কপিটা তিনি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’কলকাতা বন্দরের ১৭০.৪ একর জমি জবরদখলের কবলে! বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের কলকাতা ডক সিস্টেমের ১৭০.৪ একর মূল্যবান জমি বর্তমানে ৭০৬ জন দখলদার দখল করে আছে। গত ৫ বছরে, বন্দর জমি লিজ এবং নগদীকরণের মাধ্যমে ২,৯৯৪.৫৪ কোটি টাকা আয় করেছে। কিন্তু কল্পনা করুন, যদি এই দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং গুদামজাতকরণ, জাহাজ মেরামত, নদীর তীরবর্তী উন্নয়ন এবং অন্যান্য বন্দর-ভিত্তিক প্রকল্পের জন্য উৎপাদনশীলভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে বিশাল রাজস্ব সম্ভাবনা কতটা হতে পারে ?’
রাজ্যসভায় শমীক ভট্টাচার্যর ৫ টি প্রশ্নের(২৭১১ নম্বর) উত্তরে ভারত সরকারের বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানিয়েছে, অধিগ্রহণের আওতাধীন এলাকা ১৭০.৪ একর জমি ৭০৬ জনের নিয়ন্ত্রণে আছে। পদক্ষেপ গ্রহন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : এস্টেট বিভাগ এবং বন্দর নিরাপত্তা কর্মী (PSO) কর্তৃক দখল সনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত কিন্তু পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন করা হয়। একবার দখল সনাক্তকরণের পর, বন্দর নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় এবং কখনও কখনও স্থানীয় পুলিশের সহায়তায়, আইনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই, তা অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সদর দপ্তর থেকে দূরে অবস্থিত এবং নিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত কিছু জমিতে স্ট্যাটিক পিএসও গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে যেকোনো দখল প্রতিরোধ করা যায়। খালি জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর/বেড়া নির্মাণ ক্রমবর্ধমানভাবে করা হচ্ছে যা দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।।