এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,১২ আগস্ট : রাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা একটি গাভির সঙ্গে এক যুবকের অশ্লীলতার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো শিলিগুড়িতে । সোমবার রাতে শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত উল্কা ক্লাব মাঠের পাশে নির্জন জায়গায় ওই যুবক একটা গাভীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ভক্তিনগর থানার পুলিশ গিয়ে যুবককে গ্রেপ্তার করে । ভিন সম্প্রদায়ের অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়াতে বলে জানা গেছে । আজ মঙ্গলবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয় । এদিকে অভিযুক্ত যুবকে কঠিন শাস্তির দাবিতে থানায় গন স্মারকলিপিপত্র জমা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা৷
জানা গেছে,ধৃত যুবক পেশায় টোটো চালক। তাই তার বাড়ি চোপড়াতে হলেও কর্মসূত্রে সে শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় থাকছিল বেশ কিছুদিন ধরে । সোমবার রাতে উল্কা ক্লাব মাঠের পাশে তাকে একটা গাভীর সঙ্গে যৌনকর্ম করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে । এরপর তো আজ স্থানীয় একটা পশুপ্রাণীর সংগঠনকে ফোন করে ঘটনার কথা জানায় । সংগঠনে অন্যতম সদস্য রানা কুন্ডু শিলিগুড়ি টাইমসকে বলেছেন,গতকাল সাড়ে নটা থেকে দশটা নাগাদ আমাদের কাছে একটা ফোন আসে৷ আমাদের জানানো হয় যে একজন যুবক পশুদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত অবস্থায় আমরা ধরেছি । খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই । আমরা যুবককে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করি ৷ কিন্তু যুবক আমাদের কোন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়নি । তবে আমরা নিশ্চিত যে যুবক মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ । শেষে ভক্তিনগর থানাতে খবর দিই ।’ পঙ্কজ নামে সংস্থার আরও এক সদস্য বলেন,’আমরা গরুকে দেবতা হিসেবে পূজো করি । তাই আমাদের দাবি যে অভিযুক্ত যুবককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এই ধরনের কাজ করার সাহস না পায় ।’
আজ ওয়ার্ড পার্ষদ সেবিকা মিত্তালের নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দারা ধৃত যুবকের কঠিন শাস্তির দাবিতে ভক্তিনগর থানায় একটা গন স্মারকলিপি পত্র জমা দেন । সেবিকা মিত্তাল শিলিগুড়ি টাইমসকে বলেছেন, ‘ওই রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট মেয়েরা স্কুলে যায় ৷ বিভিন্ন বয়সের মহিলারা যাতায়াত করেন ।’ তিনি বলেন,’যে যুবক একটা পশুকে ছাড়ে না সে মেয়েদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে পারে, এই ভেবে এলাকার মহিলারা ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে আছে৷’
তিনি আরো বলেন, হিন্দু সংস্কৃতিতে গরু আমাদের কাছে পূজ্য । গরুর গোবর এবং মূত্র আমাদের পুজোয় কাজে লাগে । গরুর দুধ আমরা সকলেই পান করি । আর সেই গরুর সঙ্গেই কেমন আচরণ করা ব্যক্তির মানসিকতা আমাদের কাছে রাক্ষস প্রবৃত্তির লেগেছে । তাই আমরা কঠোর শাস্তির দাবিতে আজ ভক্তিনগর থানার পুলিশের কাছে গন স্মারকলিপি পত্র জমা দিয়েছি ।’ তিনি জানিয়েছেন, এলাকায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর বিষয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশ তাদের আশ্বাস দিয়েছে ।।