এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ আগস্ট : শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জিকে “বদ্ধ পাগল শ্বাপদ” বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তিনি বনদপ্তরকে দিয়ে ঘুম পাড়ানি ওষুধ (ট্রাঙ্কুলাইজার) প্রয়োগ করে তৃণমূল সাংসদকে জেলে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন । আসলে,কত ৯ ই আগস্ট আরজি করের ‘অভয়া’র বাবা-মায়ের ডাকে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুলিশের এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে “শুয়রের বাচ্ছা” বলে সম্মোধন করেছিলেন । তার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কল্যাণ ব্যানার্জি বলেছিলেন,’হাই কোর্টের সৌজন্যে একজন বিরোধী দলনেতা কত বড় ক্রিমিনাল হতে পারে, সেটা মানুষ দেখছে ।’ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের জন্য তিনি সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টকে কাঠগড়ায় তোলেন ।
পুলিশের লাঠিচার্জ যে আহত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘অভয়া’র মায়ের শারিরীক অবস্থার খোঁজ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ ব্যানার্জীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান সুকান্ত মজুমদার । তিনি বলেন,’উনি মহিলাদের নিয়ে এমন সমস্ত আচরণ করছেন, আগামী দিনে যেন ওনার বাড়ির পাশের মহিলাদের কামড়ে না দেয় । এই ধরনের বদ্ধ পাগল শ্বাপদরা যদি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তাহলে তো বিপদ । এক্ষেত্রে নিয়ম আছে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে মেরে ধরে নিয়ে গিয়ে খাঁচায় বন্দি করা ৷ এখন একে কোন ট্রাঙ্কুলাইজার দেওয়া হবে সেটা বনদপ্তর ঠিক করুক । আমার মনে হয় একে সবার আগে জেলে ঢোকানো উচিত ।’ তিনি আরও বলেন,’আমার তো মনে হয়, কলকাতা হাইকোর্টের উপরে এমন বেনজির আক্রমণ কোনো আইনজীবীর কথা ছেড়ে দিন, যিনি আইন পড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের এমন থার্ড গ্রেডের নেতা পর্যন্ত করেনি । আমার তো মনে হয় কলকাতা হাইকোর্টের উচিত পুলিশকে দিয়ে স্বতপ্রণোদিত এফআইআর করিয়ে কল্যাণ ব্যানার্জিকে সবার আগে গারদে পোরা উচিত ।’
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য প্রসঙ্গে গতকাল কল্যাণ ব্যানার্জি বলেছিলেন,’গতকাল শুভেন্দু অধিকারী নিজে উস্কানি দিয়েছে। খুব বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছিল নবান্ন অভিযানের নামে তা ভাবা যায় না। প্রচুর ক্রিমিনাল এক্টিভিটিস ঘটেছে । জাস্টিস রাজশেখর মান্থা একটি রায়দান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে। সেই রায় দিয়েছিলেন, যার ফলে একের পর এক অপরাধমূলক কাজ করছে শুভেন্দু অধিকারী। ভাষা প্রয়োগ করছেন অত্যন্ত বাজে। পিগ সন বলছেন।’ এরপর তিনি বলেন,’এই ধরনের লোকদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিতে হবে । হাই কোর্টের সৌজন্যে একজন বিরোধী দলনেতা কত বড় ক্রিমিনাল হতে পারে মানুষ দেখছে। হাইকোর্টও দেখুক। সমালোচনা সবাইকে শুনতে হবে।’
প্রসঙ্গত,দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র একটা পডকাস্টে কল্যাণ ব্যানার্জিকে “সেক্সুয়ালি ফ্রাসট্রেটেড পিগ” বলেছিলেন৷ যা নিয়ে দুই সাংসদের মধ্যে ব্যাপক কাদা ছোড়াছুড়ি হয় । এর পরপরই লোকসভার মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ । সেটা গ্রহণ করে তার দল । সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা কল্যাণের সমর্থনে তার পাশে দাঁড়ালে শুরু হয় জল্পনা । সেই জল্পনাতে জল ঢালতেই কল্যাণ গতকাল শুভেন্দুকে আক্রমণ করছেন বলে মনে করা হচ্ছে ।।

