“প্রত্যক্ষাবগমং ধৰ্ম্ম্যং সুসুখং কর্ত্তুমব্যয়ম্”
শ্রীমদভগবদগীতায় ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ প্রায় প্রতিটি শ্লোকেই যোগের কথা, যোগীর কথা এবং যোগীর উপলব্ধির কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, অর্জুনকে যোগী হতে উপদেশও দিয়েছেন । অর্জুনকে যোগসাধনার উপদেশ দিতে গিয়ে শ্রীভগবান্ পরিষ্কার ভাবে বলেছেন-‘প্রত্যক্ষাবগমং ধৰ্ম্ম্যং সুসুখং কর্ত্তুমব্যয়ম্’। এই আত্মবিদ্যারূপ যোগধর্ম প্রত্যক্ষ ফলদায়ক, অতীব সুখে আরামে করা যায় এবং যতটুকু করা যায় তা অব্যয় অবিনাশী। এই যোগধর্ম সুখে করা যায় এই জন্য যে এই সাধন করতে হলে কোনো প্রকার বাহ্যত্যাগ, বেশভূষা পরিবর্তন এবং কোনো প্রকার আড়ম্বরের প্রয়োজন হয় না।
এই সাধন বিজ্ঞান সম্মত হওয়ায় কোনো প্রকার কষ্ট হয় না, শরীর ও মনকে সুস্থ রাখা যায়, কোনো প্রকার বাহ্য উপকরণের প্রয়োজন হয় না, কেবল মন ও প্রাণ এই দুটোকে নিয়েই কাজ করতে হয়। কালা, বোবা, অন্ধ, খোঁড়া, স্ত্রী, পুরুষ, উচ্চজাতি, নিম্নজাতি, সাধু, গৃহী নির্বিশেষে যে কোনো ধর্মাবলম্বীর মানুষই হোক না কেন এই যোগসাধন অনায়াসে করতে পারে। এই যোগসাধন করলে অধ্যাত্ম জগতের সবকিছু সরাসরি প্রত্যক্ষ হয়। এখন সাধন করলাম পরে পুণ্যফল অর্জন হবে একথা যোগধর্ম কখনই বলে না। এখন জল পান করলাম, পরে পিপাসা দূর হবে, তা যেমন হয় না যোগধর্মও ঠিক তাই।।