এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৯ আগস্ট : বৃদ্ধা স্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী । বছরের পর বছর স্ত্রীর পরিচর্যা করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন বৃদ্ধ স্বামী । তাই পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীর কবল থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে তাকে বাড়ির উঠানে জীবিত অবস্থায় কবর দিচ্ছিলেন তিনি । যদিও বরাত জোরে বেঁচে গেছেন ওই বৃদ্ধা । ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশের শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজারসংলগ্ন এলাকায় । অভিযুক্ত স্বামীর নাম খলিলুর রহমান (৮০) এবং ভুক্তভোগীর স্ত্রী খোশেদা বেগম (৭০)।
জানা গেছে,বেশ কয়েক বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী খোশেদা বেগম। তাদের বেশ কয়েকজন সন্তান সন্ততি রয়েছে ৷ কিন্তু তারা পৃথক সংসারে থাকায় বৃদ্ধা অসুস্থ স্ত্রীর শৌচকর্ম থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিচর্যার কাজ করতে হত বৃদ্ধ খলিলুর রহমানকে । যেকারণে বৃদ্ধ খুব বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই অসুস্থ স্ত্রীর কবল থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে বাড়ির উঠানে তাকে জীবিত কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খলিলুর রহমান । সেই মত শুক্রবার বৃদ্ধ উঠানে কোদাল দিয়ে একটা বড়সড় গর্তও খুঁড়ে ফেলে । তারপর তিনি স্ত্রী খোশেদা বেগমকে টানতে টানতে ঘর থেকে এনে সেই গর্তে ফেলেন৷ তারপর কোদাল দিয়ে তাকে মাটি চাপা দিতে শুরু করেন ।
এদিকে নাতি খোকন (১৯) যে সেই দৃশ্য নিজের মোবাইল দিয়ে লাইভ করছে সেটা নজরে পড়েনি খলিলুর রহমানের । ভিডিওতে বৃদ্ধাকে তারস্বরে চিৎকার করতে দেখা যায় । তবে সেই লাইভ নজরে পড়ে যায় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের । ফলে প্রাণে বেঁচে যান বৃদ্ধা৷ শ্রীবরদী থানার ওসি মহম্মদ আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘ভিডিও দেখার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠানো হয় । বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সামাজিকভাবে সমাধান হয়েছে শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ ঘটনাটির বিষয়ে বলেন, ‘ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি সত্যিই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’।