এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৮ আগস্ট : আগেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। তারপরেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা ভারত বন্ধ না করায় আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় । ফলে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপল ভারতীয় পণ্যের ঘাড়ে। আগামী ২৭ অগাস্ট চালু হচ্ছে এই নতুন শুল্ক । এদিকে পালটা আমেরিকা থেকে অস্ত্র ও আকাশযান কেনা স্থগিত করেছে ভারত,জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা চুক্তি বাতিল করেনি, সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ট্রাম্পকে সতর্ক করে মার্কিন কূটনীতিক এবং ব্যবসায়ী কার্ট ক্যাম্পবেল বলেছেন,”যদি আপনি ভারতকে বলেন যে রাশিয়ার সাথে তার সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে, তাহলে ভারতীয় কৌশলবিদরা ঠিক বিপরীত কাজটাই করবেন ।” তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের কাছে হাঁটু গেড়ে বসতে পারেন না এবং করা উচিতও নয় । একবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হল ভারতের সাথে এবং ট্রাম্পের কারণে এটি এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ।”
রয়টার্স বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হামলার পর চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে এই প্রথম ‘শক্ত জবাব’ দিল ভারত। শুল্ক নিয়ে ভারত ইতিবাচক ফল পেলেই কেবল চুক্তিতে সামনে এগুবে তারা । এই চুক্তি স্থগিতের কোনো লিখিত নেই বলে জানান আর এক কর্মকর্তা। তার মানে, ভারত চাইলেই দ্রুত তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারবে। তবে এটি শিগগির হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে ।
আর এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও তলানিতে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে । এদিকে শুল্ক আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। কিন্তু প্রশাসনের দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি সম্ভবত আমেরিকা যাচ্ছেন না । ফলে ট্রাম্পের একগুঁয়েমি ও দাদাগিরির কারনে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে নিয়ে এসেছেন । এমতবস্থায় নরেন্দ্র মোদীর নতি স্বীকার করার কোনো সম্ভাবনাই নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । কারন বিষয়টি এখন ভারতীয় অস্মিতা ও আভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে । মোদী যদি ট্রাম্পের কাছে নতিস্বীকার করলে সামনেই বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোটে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়ে যাবে ।।