এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৪ আগস্ট : বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্রের মধ্যে রসায়ন ঠিক যাচ্ছে না । মহুয়া মৈত্রর একটা মন্তব্যে পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে গেছে যে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হুইপ পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পদত্যাগের ঘোষণার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়াকে তোপ দেগেছেন কল্যাণ ।
আসলে একটা পডকাস্টে কল্যাণ ব্যানার্জিকে “সেক্সুয়ালি ফ্রাসট্রেটেড পিগ” বলে অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে । কল্যাণ এক্স-এ তার সহ- সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে লিখেছেন, একজন সহকর্মী সাংসদকে “শুয়োরের” সাথে তুলনা করার মতো অমানবিক ভাষা ব্যবহার করা কেবল দুর্ভাগ্যজনকই নয় বরং নাগরিক আলোচনার মৌলিক নিয়মের প্রতি গভীর অবজ্ঞার প্রতিফলন। যারা মনে করেন যে আপত্তিকর বক্তব্য সারাংশের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাদের উচিত তারা যে ধরণের রাজনীতি অনুশীলন করছেন – এবং এটি যে অন্তসারশূন্যতা প্রকাশ করে তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করা। যখন একজন জনপ্রতিনিধি নাম-ডাক এবং রূঢ় কটাক্ষের কাছে নত হন, তখন এটি শক্তি নয়, বরং নিরাপত্তাহীনতার প্রতিফলন ঘটায়।’
তিনি লিখেছেন,’একজন পুরুষ সহকর্মীকে ‘যৌনভাবে হতাশ’ হিসাবে চিহ্নিত করা সাহসিকতা নয় – এটি সরাসরি অপব্যবহার। যদি এই ধরনের ভাষা একজন মহিলাকে বলা হয়, তাহলে দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হবে । কিন্তু যখন একজন পুরুষ লক্ষ্যবস্তু হন, তখন এটি প্রত্যাখ্যান করা হয় বা এমনকি প্রশংসা করা হয়। আসুন স্পষ্ট করে বলি: নির্যাতনই নির্যাতন – লিঙ্গ নির্বিশেষে । এই ধরনের মন্তব্য কেবল অশ্লীল নয়, এটি একটি বিষাক্ত দ্বৈত মানকে শক্তিশালী করে যেখানে পুরুষদের কাছ থেকে নীরবে এমন কিছু সহ্য করার আশা করা হয় যা ভূমিকা বিপরীত হলে কখনই সহ্য করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন,’যদি মহুয়া মৈত্র মনে করেন যে তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন, তাহলে তিনি নিজেকেই প্রতারণা করছেন। তিনি বলেন, এটি মহুয়া মৈত্রের জন্য লজ্জাজনক এবং এই দেশের মানুষ অবশ্যই তার কর্মকাণ্ড বুঝতে পারবে।’
এদিকে এই ঘটনায় কল্যাণ ব্যানার্জির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপির যুবনেতা তরুনজ্যোতি তিওয়ারি । তিনি মহুয়া মৈত্রর বক্তব্যের ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন,’কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রাজনৈতিক বিরোধ আছে । কিন্তু এটা অস্বীকার করা যায় না যে তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে আইনি সাহায্য করে এবং একের পর এক মামলা করে যে তৃণমূলকে সাহায্য করেছিল তার নাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুসময় সুযোগ বুঝে দলে আসা মহুয়া মৈত্র কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে গালাগালি করছে এবং উল্টে আবার দেখলাম আজকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে তার জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তৃণমূলের কর্মী যারা তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল তাদের দাম আজকে তৃণমূলে নেই। আগেই বলেছিলাম তৃণমূল হল সেই লোকজনদের মতো যারা পশুপালন করে এবং সেই পশু বৃদ্ধ হলে কসাই এর কাছে বিক্রি করে দেয়।।