এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,৩০ জুলাই : বাংলাদেশের রংপুরে ধর্মনিন্দার জিগির তুলে হিন্দু সসম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার আবহের মাঝেই ফরিদপুরের সদর উপজেলায় একটি সার্বজনীন মন্দিরের বিভিন্ন প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময়ে কানাইপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ‘খাসকান্দি সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী ও দুর্গা মান্দিরে’ এই ঘটনা ঘটে বলে মন্দিরের সভাপতি বাসুদেব বিশ্বাস জানিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ।
বাসুদেব বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পূজারি বাড়িতে চলে যান। বুধবার সকাল ৬টার দিকে ওই এলাকার বাসিন্দা ভজন শীল মন্দিরে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিমার ভাঙা অংশ দেখতে পান। দুস্কৃতিকারীরা কালির ডান হাতের কব্জি, বাঘের মাথার চুলসহ চারটি দাঁত, শিবের গলায় পেঁচানো সাপের লেজ, যোগিনীর বাম হাতের অংশ, ডাকিনির দুটি দাঁত ও নিচের অংশ কিছুটা ভেঙে ফেলেছে।
মন্দিরটির ভবন পাকা এবং সামনের দিকটি খোলা। সেখানে কোনো দরজা, গ্রিল কিংবা আচ্ছাদনের ব্যবস্থা নেই। মন্দিরটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কোনো সিসি ক্যামেরাও নেই। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, খাসকান্দি সার্বজনীন দুর্গা মান্দিরটি অন্তত ৫০-৬০ বছরের পুরনো। পূজা-পার্বনে এলাকার বিভিন্ন ধর্মের লোকজন এখানে সহযোগিতাসহ একসঙ্গে আনন্দ করে। তবে কে বাবা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতিসহ আশপাশের বাসিন্দারা কোনো ধারণা দিতে পারেননি। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মহম্মদ আসাদউজ্জামান বলেন,’আজ বিকেলের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলি মেরামত করে দেওয়ার জন্য প্রতিমা নির্মাণ শিল্পীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ খরচ বহন করবে জেলা পুলিশ।” এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ফরিদপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিধান সাহা ও সহ-সভাপতি সুকেশ সাহা জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মন্দিরের সামনে ফটক না থাকায় দুর্বত্তরা নির্বিঘ্নে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পেরেছে। মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা কথাও জানান তারা।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন,’শুক্রবার এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই মন্দির প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের নিরাপত্তা কিভাবে বাড়ানো যায় সভায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।।

