এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,২৭ জুলাই : আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশের স্থানীয় সূত্রগুলি প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদে একটি ভয়াবহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে, যেখানে একজন সমকামী মোল্লা ইমাম, মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, তার এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করেন এবং পরে হত্যা করেন। এই অপরাধটি জালালাবাদের ষষ্ঠ জেলায়, “খালেস পরিবার” নামে পরিচিত একটি এলাকায় ঘটেছিল। সূত্রগুলি শনিবার(২৬ জুলাই), আফগান নিউজ আউটলেট হাশতে-ই-সুব ডেইলিকে জানিয়েছে যে, মুফতি ওয়ালিউল্লাহ একটি সেতুর নীচে নির্যাতিতের মৃতদেহ ফেলে দিয়ে তার অপরাধ গোপন করার চেষ্টা করেছিল ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,একই সূত্র অনুসারে, মুফতি ওয়ালিউল্লাহর বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগের এটিই প্রথম ঘটনা নয়। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে, তার বিরুদ্ধে আরও চারজন ছাত্রের বিরুদ্ধে একই ধরণের কাজের অভিযোগ আনা হয়েছিল । কিন্তু সেই সময়ে তাকে কোনও আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়নি। পূর্ববর্তী মামলাগুলিতে জবাবদিহিতার অভাব এই অঞ্চলে এই ধরণের ঘটনা পরিচালনার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্থানীয় তালিবান কর্তৃপক্ষ এই সর্বশেষ অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুফতি ওয়ালিউল্লাহকে আটক করেছে, যদিও নাঙ্গারহারের তালিবান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি জারি করেননি।
বলা হয়েছে,তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এই ঘটনাটি আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যার কথা তুলে ধরে। ধর্মীয় স্কুলগুলিতে যৌন নির্যাতন, সহিংসতা এবং নির্যাতনের খবর, বিশেষ করে কিছু মোল্লা ইমাম কর্তৃক শিশু এবং শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে, উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনাটি দেশের শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ধরনের নির্যাতনের জরুরি সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।।

