এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা, ২৫ জুলাই : বিনা দোষে কারাদণ্ড ভোগ করা সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হিন্দুধর্মীয় সমাজে সুপরিচিত ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বর্তমানে কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী এডভোকেট অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য । তার অভিযোগ,সন্নাসীর ঠিক মত চিকিৎসা হচ্ছে না এবং ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না । বাংলাদেশের হিন্দুদের অভিযোগ, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রিয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বিনা চিকিৎসায় প্রাণে মারার ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস ।
এই হিন্দু ধর্মীয় নেতাকে সম্প্রতি একাধিক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও তাঁর অনুসারীদের দাবি, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসার অংশ। কিন্তু কারাবন্দি অবস্থায় তাঁর যে শারীরিক অবনতি ঘটছে, তা মানবিকতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে করছেন অনেকে। আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেছেন, “চিন্ময় দাস দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, পেটের সমস্যা, অনিদ্রা এবং হৃদ্রোগ-সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন। তিনি একজন ব্রহ্মচারী। সন্ন্যাসজীবনে অভ্যস্ত একজন মানুষকে নিয়মিত চিকিৎসা ও মানসিক প্রশান্তি ছাড়া রাখা যায় না। অথচ কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা কোনো সহানুভূতি পাচ্ছি না।”চিকিৎসার আবেদন একাধিকবার জানানো হলেও কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে উপেক্ষা করেছে বলে দাবি আইনজীবীর।
জানা যায়, কারাগারে তাঁর নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা হচ্ছে না, কোনো ডাক্তার নির্ধারিত ওষুধও দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কোনো মেডিক্যাল বোর্ডও এখনো গঠন করা হয়নি। ধর্মীয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সনাতনী জাগরণ জোট, গীতাপাঠক সংঘ এবং ব্রাহ্মণ সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠন বলেন, “চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি হাজারো তরুণ হিন্দুর আস্থা ও আত্মশক্তির প্রতীক। তাঁকে এভাবে বিনা চিকিৎসায় রাখাটা শুধু অমানবিক নয়, বরং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”
অন্যদিকে চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে মামলাগুলোকেও নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁদের মতে, “এই মামলাগুলোর বিচারিক প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ নয় ।” এখন যদি একজন ধর্মীয় নেতার চিকিৎসার অধিকার নিয়েও সরকার উদাসীন থাকে, তবে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন বলে মনে করছেন তারা।।

