এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,২০ জুলাই : উত্তর প্রদেশের লখনউতে ফের “লাভ জিহাদ”-এর একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । কামরুল হক নামে এক মুসলিম যুবক নিজেকে বিবেক রাওয়াত পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে । মেয়েটির বিশ্বাস অর্জন করতে সে কপালে তিলক, হাতে লাল তাগা লাগিয়ে থাকত । মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে করে। মেয়েটিকে ভাড়া বাড়িতে রাখে। কিন্তু মেয়েটি কামরুলকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে সে অজুহাত দেখিয়ে পালিয়ে যায় । বিয়ের ৮ বছর পর, মেয়েটি যখন হরদইতে তার বাড়িতে পৌঁছায়, তখন সত্য বেরিয়ে আসে ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভুক্তভোগী এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে তিনি একজন সমাজকর্মী। ২০১৭ সালে কামরুল হক হাতে লাল তাগা এবং কপালে তিলক পরত । সে নিজের নাম বিবেক রাওয়াত বলে জানায় । তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন।মেয়েটি জানিয়েছে যে তিনি তাকে দুই বছর ধরে লখনউতে একটি ভাড়া বাড়িতে রেখেছিল । কোভিডের সময়, যখন মেয়েটি তাকে হরদইতে কামরুলের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন, তখন সে ব্যবসা ভালো না হওয়ার অজুহাত দেখিয়েছিল। তারপর সে রহিমাবাদে মেয়েটির বাড়িতে চার বছর ছিল । একদিন সে চাকরি আছে বলে চলে যায় । সে দেড় বছর ধরে আসা-যাওয়া করতে থাকে, কিন্তু অনেক দিন ধরে না মেয়েটি তাকে খুঁজতে হারদোইতে তার বাড়িতে পৌঁছায়।
সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে কামরুল একজন মুসলিম। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর করে। কামরুলের পরিবারের সদস্যরাও ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি নিজেকে বাথরুমে আটকে রাখে এবং ১০৯০ নম্বরে ফোন করে খবর দেয়। পুলিশ কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।।

