এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ জুলাই : আজ শুক্রবার দুর্গাপুরে বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’য় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । যেকারণে রাজ্য বিজেপিতে সাজো সাজো রব । রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এখন দুর্গাপুর মুখি। কিন্তু বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর সভায় না গিয়ে ছুটলেন জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে । কিন্তু কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে তার গলায় অভিমানের স্পষ্ট সুর সুনতে পাওয়া গেলো । কলকাতা বিমানবন্দরে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন,’কর্মীরা ডেকেছিলেন তাই আমি হ্যাঁ করেছিলাম। পার্টি ডাকেনি, হয় তো পার্টি চায়ও না যে আমি যাই । এরপর আমি গেলে অস্বস্তি হবে। সেই জন্য আমি দুর্গাপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছি না।’ অবশ্য তিনি এও জানান যে দিল্লিতে পার্টির বিশেষ কাজে যাচ্ছেন ।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের বছর খানেক পর থেকেই রাজ্য বিজেপিতে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্বের উৎপত্তি । আর তখন থেকে শুভেন্দু-দিলীপ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত । যা চরম আকার নেয় বিগত লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ নিজের মেদিনীপুর কেন্দ্রে টিকিট না পাওয়ার পর থেকে । পরিবর্তে তাকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে দল । কিন্তু তিনি পরাজিত হন । আর তারপর থেকেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন দিলীপ । পরে রথযাত্রায় দিঘার জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনীর দিন উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে “সৌজন্য সাক্ষাৎ” করার পর থেকেই তিনি দলের কাছে কার্যত অছ্যুৎ হয়ে যান । মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে তার এই “সৌজন্য সাক্ষাৎ” মেনে নিতে পারেনি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও খোদ আরএসএস । শাস্তি স্বরূপ দিলীপ ঘোষকে দলের কোনো সভা সমাবেশে না ডাকার সিদ্ধান্ত হয় ।
যেকারণে দলীয় নতুন রাজ্য সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও ডাক পাননি দিলীপ ঘোষ । দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও দলীয়ভাবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি । যদিও প্রথম দিকে দিলীপ জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকবেন । কিন্তু আজ সভার দিনেই তিনি দিল্লি উড়ে গেলেন । যদিও সভায় তার উপস্থিত না থাকার কথা গতকালই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে দিলীপ ঘোষ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভায় থাকছেন না, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন।।

