এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,১৮ জুলাই : দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) কে ‘বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই তথ্য জানিয়েছেন। টিআরএফ চলতি বছরের ২২ এপ্রিল পাহালগামের বাইসরান উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং একজন স্থানীয় কে গুলি করে হত্যা করেছিল।
রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) কী ?
রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) হল পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT) এর একটি সম্মুখ সংগঠন এবং কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে । মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি সম্মুখ সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা জাতিসংঘ কর্তৃক মনোনীত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যার সদর দপ্তর পাকিস্তানে অবস্থিত। এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, টিআরএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা ট্রাম্প প্রশাসনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং পহেলগাম হামলার বিচার দাবি করে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। টিআরএফ পহেলগাম হামলার দায় স্বীকার করেছে, যাকে মার্কিন কর্মকর্তারা ২০০৮ সালে লস্কর-ই-তৈয়বার মুম্বাই হামলার পর ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা বলে বর্ণনা করেছেন।
কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বেশ কয়েকটি হামলা
টিআরএফকে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করলে এর সদস্যদের উপর কঠোর আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সাথে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা জোরদার হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলার সাথেও জড়িত।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসরান উপত্যকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে এবং বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর গুলি চালায়, যার ফলে ২৬ জন নিহত হয়। এই হামলার ফলে ভারতজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আমেরিকা সহ অনেক বিশ্ব দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সাথে সংহতি প্রকাশ করে। এই সন্ত্রাসী হামলার পরপরই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এর পাশাপাশি, তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং নয়াদিল্লিকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছে। আমেরিকান রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে ভারত এই কাপুরুষোচিত হামলার অপরাধীদের এবং তাদের আশ্রয়দানকারীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পর, ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭ মে সকালে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানায় বিমান হামলা চালায়, যেখানে ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিকেশ হয়।।