এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৫ জুলাই : রাজুয়া গ্রামে বোমা বাঁধাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ তুফান চৌধুরীকে নিজেদের হেফাজতে নিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুলিশ । পাশাপাশি ওই ঘটনায় ইব্রাহিম শেখ ও আবুল কালাম শেখ নামে আরও ২ দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে । তাদের বাড়ি কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙ্গা গ্রামে । সোমবার রাতে তাদের পাকড়াও করা হয় । এনিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জন । কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ তুফান চৌধুরী ও বাকি দুই ধৃতকে আজ মঙ্গলবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তুফানকে আট দিনের জন্য ও বাকি দু’জনকে চারদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।
গত ৪ জুলাই রাতে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে কাটোয়া থানার রাজুয়া গ্রাম । পরে জানা যায় যে শেখ তুফান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটা ঘরে বসে বোমা বাঁধছিল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী । ঘরটি কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়৷ বোমা বাঁধার কারিগর বীরভূমের নানুর এলাকার বাসিন্দা বরকতের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । গুরুতর জখম হয় শেখ তুফান চৌধুরী । বেগতিক বুঝে বাকিরা চম্পট দেয় । যদিও একে একে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাদের মধ্যে দুজন মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। একজন কেতুগ্রামের এবং দুজন কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা সবাই রাজুর গ্রামের। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ওই বাড়ির মালিকপক্ষের দুজন।
বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশের ঘরবাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয় । পুলিশের অনুমান যে একসঙ্গে বেশ কয়েকটা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল । পুলিশ জানতে পেরেছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম হওয়ার পরেই তুফান চৌধুরী ফোন করেছিল গাঙ্গুলিডাঙ্গার বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখ ও আবুল কালাম শেখকে । প্রমাণ পেয়েই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তবে বোমা বাঁধার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয় । তবে পুলিশের তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মত । কারন পুলিশ জানতে পেরেছে যে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তুফান প্রায় লক্ষাধিক টাকার বোমার মশলা কিনে মজুত করেছিল । তবে ঠিক কি উদ্দেশ্যে সে বিপুল সংখ্যক বোমা বাঁধার কাজ শুরু করেছিল এবং এই ঘটনার পিছনে অলক্ষ্যে কার মাথা কাজ করছিল সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় পুলিশ । পুলিশের আশা যে শেখ তুফান চৌধুরীকে জেরা করে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে ।।

