এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৫ জুলাই : মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাতে দেশের শাসনক্ষমতা চলে আসার পর চুড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে বাংলাদেশে । সেদেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে । এবারে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শিহরিত করে দেওয়ার মত একটা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে লুটপাটের পর আমেরিকা প্রবাসী এক নববধূকে তার স্বামীর সামনেই গনধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে ডাকাতদল । এই ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অপরাধী ডাকাত চক্র রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে একের পর এক ডাকাতির সাথে হত্যা, ধর্ষণসহ দুর্ধষ চুরির ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আতঙ্ক আর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়লেও বাড়েনি পুলিশি নজরদারি। পুলিশ নজরদারি বাড়ানোসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এবং এলাকার দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি উঠছে ।
জানা গেছে, সম্প্রতি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালীতে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে এসেছেন আমেরিকা প্রবাসী ওই নববধূ। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত আড়াইটার সময় জানালার গ্রীল কেটে বসত ঘরে প্রবেশ করে ৭-৮ জনের সশস্ত্র সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। শিশুসহ ঘুমন্ত সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা-মুখ-চোখ বেঁধে আলাদা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এসময় স্বামীর হাত-পা-মুখ-চোখ বেঁধে তার সামনেই প্রবাসী নববধূকে চার জন মিলে ওই শোবার ঘরেই দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। ডাকাতি শেষে ঘরে থাকা ১৩ ভরি সোনার গহনা নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তরিকুল ইসলাম সুনান অজ্ঞাত আসামিদের নামে কলাপাড়া থানায় মামলা করেছেন। সন্দেহজনক দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ডাকাত দলের সবাই কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা ছিল। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ রামদা, চাপাতি ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আলমারি ও শোকেসের চাবি কেড়ে নিয়ে সোনার অলংকারসহ টাকা কেড়ে নেয়।ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তরিকুল ইসলাম সুনান বলেন, একতলা ভবনের বারান্দার গ্রীল কেটে ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। তাকে ও তার আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রীকে (নিশাত তাবাসুম) বেদম মারধর করে লাঞ্চিত করে।
এলাকাবাসী নিজাম ও নাসির তালুকদার বলেন, ডাকাতির সাথে গনধর্ষণের ঘটনায় এলাকা জুড়ে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, ৫ই আগস্ট পরবর্তী বেশ কয়েকটি ডাকাতির সাথে হত্যা, ধর্ষণসহ দুর্ধষ চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক, উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না । প্রতিরাতে আতঙ্ক আর উদ্বেগ নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। মাসের পর মাস এই অবস্থা চলছে। কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন দু’জনকে ইতোমধ্যে আটক করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ। প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে চলছে অভিযান। উপজেলা জুড়ে পুলিশ তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন ।।

