এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ জুলাই : আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনিত করেছেন । তাঁরা হলেন প্রখ্যাত আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম,সমাজকর্মী সি. সদানন্দন মাস্টার,প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এবং ইতিহাসবিদ ডঃ মীনাক্ষী জৈন৷ গতকাল কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রকের জারি করা একটা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদের (১) উপ-ধারা (ক) দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে, যা সেই অনুচ্ছেদের (৩) ধারার সাথে পঠিত, রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্যদের অবসর গ্রহণের কারণে সৃষ্ট শূন্যপদ পূরণের জন্য নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের রাজ্য পরিষদে মনোনীত করতে পেরে আনন্দিত ।’ নির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম মুম্বাই হামলায় একমাত্র জীবিত সন্ত্রাসী আজমল কাসভকে ফাঁসিতে ঝোলানো অন্যতম কারিগর ছিলেন । যখন কথিত ধর্মনিরপেক্ষ গ্যাং ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনগুলি ওই সন্ত্রাসীকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছিল, তাদের সেই অশুভ প্রচেষ্টাকে আদালতে ব্যর্থ করে দিয়ে কাসভের ফাঁসি নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম ।
রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে সদ্য নির্বাচিত চার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের বিস্তারিত পরিচয় দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, প্রথিতযশা আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম, প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শৃংলা,সমাজকর্মী সি সদানন্দন মাস্টার ও ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈনকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি সন্মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মু মহাশয়া।
সমাজকর্মী সদানন্দন মাস্টার। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি পরিবারের সাথে যুক্ত, ১৯৯৪ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে কমিউনিস্ট মতাদর্শ ত্যাগ করে যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে। ঠিক এই কারণেই সিপিএমের সন্ত্রাসীরা তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ সেই হামলায় তাঁর দুটি পা কেটে ফেলা হয়। তারপরও প্রস্থেটিক পা লাগিয়ে তিনি সমাজ সেবা করে চলেন। তিনি বিশেষ করে বঞ্চিত শ্রেণি, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। রাষ্ট্রপতি মহোদয়া কর্তৃক রাজ্যসভার জন্য মনোনীত হওয়ায় উনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শৃংলা। তিনি নিজের একাধিক এনজিওর মাধ্যমে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বহু সমাজসেবামূলক কাজ করেন। আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসাবেও কাজ করেছেন। বহু বছর হাই কমিশনার হিসেবে বাংলাদেশে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের সময় ভারতের বিদেশ নীতি সংক্রান্ত বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মহোদয়া কর্তৃক রাজ্যসভার জন্য মনোনীত হওয়ায় উনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ডঃ মীনাক্ষী জৈন। তার শিক্ষার মাধ্যমে তিনি ভারতবাসীর সামনে ইংরেজদের দ্বারা একাধিক ভারতীয় পরম্পরাকে বিকৃত রূপে প্রতিষ্ঠা করা, রামায়ণসহ ভারতের ইতিহাসকে ভারতবাসীর সামনে প্রকৃত রূপে ফুটিয়ে তোলা (যা বামপন্থী ইতিহাসবিদরা শুধুমাত্র কাহিনী বলে চালিয়েছে), মথুরা-কাশি-বৃন্দাবন সহ হিন্দুদের আরাধ্য স্থানগুলিকে কিভাবে বিদেশি লুটেরারা কব্জা করে নিয়েছে – এইসব সংক্রান্ত প্রকৃত ভারতের ইতিহাস মানুষের কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতি মহোদয়া কর্তৃক রাজ্যসভার জন্য মনোনীত হওয়ায় উনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
মনোনীত হলেন আইনজিবী উজ্জ্বল নিকম। মুম্বই হামলার পর একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নেপথ্যে অন্যতম কারিগর তিনি। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলাতেও আইনজীবী হিসাবে জঙ্গিদের বিপক্ষে লড়েছেন উজ্জ্বল। অস্ত্র আইনে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে জেলের ঘানি টানানোর নেপথ্যেও রয়েছে এই উজ্জ্বল নিকমেরই হাত।রাষ্ট্রপতি মহোদয়া কর্তৃক রাজ্যসভার জন্য মনোনীত হওয়ায় উনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।।

