এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১২ জুলাই : বৃহস্পতিবার হরিয়ানার গুরুগ্রামের ২৫ বছর বয়সী টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে(Radhika Yadav) গুলি করে হত্যা করে তার বাবা দীপক যাদব । মেয়ে যখন রান্না ঘরে রান্নায় মগ্ন ছিল তখন তার বাবা পিছন থেকে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায় । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাধিকার । মেয়েকে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছে দীপক যাদব । কিন্তু কেন জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়, বিশ্বতালিকায় ১১৩ নম্বরে থাকা মেয়েকে এভাবে গুলি করে খুন করলেন তিনি ? ভারতের প্রথম সারির মিডিয়াগুলি দাবি করছে যে মেয়ে খেলে রোজগার করে সংসার চালাত । এজন্য সে নাকি বাবাকে খোঁটা দিত । এছাড়া রাধিকার স্পোর্টস একাডেমি ও রিলস বানানোতেও তার বাবার আপত্তি ছিল । একারণেই নাকি খুন ? যদিও সংবাদমাধ্যমগুলি আসল তথ্য আড়াল করে গেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
যেটা জানা যাচ্ছে যে টেনিস একাডেমি পরিচালনার সময় ও ইনস্টাগ্রাম রিলসে রাধিকার সাথে ইনাম উল হক (Inaam Ul Haq) নামে এক যুবকের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি দীপক যাদব । দীপক তার মেয়েকে ইনাম উল হকের সাথে মেলামেশা বন্ধ করার জন্য একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন । মেয়েকে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছিল । কিন্তু মেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। শেষ পর্যন্ত, দীপক যাদব চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে দাবি করা হচ্ছে ।
মৃত টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের বাবা দীপক যাদব তার ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জন্য আড়াই কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। খেলায় রাধিকা আহত হওয়ার পর, তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। এর জন্য তিনি এলভিশ যাদবকে তার অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মানসিক চাপ এবং সামাজিক চাপের কারণে দীপক তার মেয়েকে হত্যা করেছিলেন। রাধিকা তার বাবাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তার কঠোর পরিশ্রম নষ্ট হতে দেবেন না।
সে তার বাবাকে বলেছিল, “বাবা, আমি অনেক খেলেছি। আমি এখন টাকা উপার্জন করব। আমার মনে অনেক স্বপ্ন আছে।” তার স্বপ্ন ছিল এলভিশ যাদবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি অর্জন করা।
এসিপি যশবন্তের মতে, রাধিকা পরিবারের নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতেন। তার বাবা গত ১৫ দিন ধরে তার মেয়ের উপার্জন খেয়ে ফেলছেন বলে কটূক্তি করে বিরক্ত ছিলেন। রাধিকার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কে মুছে দিয়েছে তাও পুলিশ তদন্ত করছে। এসিপি যশবন্ত বলেন, বাড়ির অন্য সদস্যরাও তার হত্যার সাথে জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাড়িতেই নিজের বাবার হাতে খুন হন রাধিকা । বৃহস্পতিবার ছিল রাধিকার মায়ের জন্মদিন। সকালে তাই বাজারে গিয়েছিলেন রাধিকা। ফিরে এসে মায়ের জন্য স্পেশাল কিছু বানাতেই রান্নাঘরে ঢোকেন তিনি। তখন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাধিকা রান্নাঘরে কাজ করার সময়ই পিছন থেকে তাঁকে গুলি করে খুন করেন বাবা দীপক যাদব। রাধিকাকে লক্ষ্য করে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন তিনি। রান্নাঘরেই লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত রাধিকা ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮টা সোনার মেডেল পেয়েছিলেন রাধিকা। তবে চোট লাগার পর খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন রাধিকা। পরে একটি টেনিস অ্যাকাডেমি খুলেছিলেন ।।