এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১১ জুলাই : সন্ত্রাসের প্রভুদের উপযুক্ত জবাব দিতে গিয়ে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭ মে ২০২৫ রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করে দেয়। এই পুরো অভিযানটি মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল এবং ভারতের সামান্যতম ক্ষতিও হয়নি। এটি ছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’, যা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নির্ধারক শক্তি এবং সুনির্দিষ্ট আক্রমণ ক্ষমতাকে সমগ্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিল। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল আইআইটি মাদ্রাজের ৬২তম সমাবর্তনে এই পুরো অভিযান সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন।
অজিত ডোভাল গর্বের সাথে বলেন যে এই অভিযানে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং ভারত সীমান্ত পেরিয়ে কেবল সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস করেছে। ডোভাল চ্যালেঞ্জ করেন, “আমাকে এমন একটি ছবিও দেখান যেখানে ভারতের ক্ষতি হয়েছে, এমনকি যদি একটি কাচ ভেঙেও যায়, তাহলে বলুন!” ডোভাল আরও বলেন যে ভারত ইতিমধ্যেই কোন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করবে তা ঠিক করে ফেলেছে এবং সবগুলোই নির্ভুলভাবে আঘাত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় নয়, সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী শিবিরগুলিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে ভারত এখন আর কেবল প্রতিক্রিয়া দেখায় না, বরং সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনের কৌশল নিয়ে কাজ করছে।
বিদেশী সংবাদমাধ্যম এবং পাকিস্তানকে তিরস্কার করে দোভাল বলেন, “তারা মিথ্যা ছড়াচ্ছে। তারা বলে যে পাকিস্তান এটা করেছে, ওটা করেছে… যদি এরকম কিছু ঘটত, তাহলে তারা কিছু প্রমাণ দেখাত। আমরা স্যাটেলাইট ছবি দেখেয়েছি, ১০ মে এর আগে এবং পরে, পাকিস্তানের ১৩টি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।”
পাকিস্তানের নাম নিয়ে তিনি সারগোধা, রহিম ইয়ার খান, চাকলালার মতো বিমানঘাঁটি সম্পর্কে বলেন এবং স্পষ্ট করে বলেন যে ভারতের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, সীমিত এবং সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ভারতের পদক্ষেপে ভীত পাকিস্তান প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ব্যর্থ করে দেয়।।

