এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,১০ জুলাই : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়া থানা এলাকার এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় প্রতিবেশী যুবককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল বারাসাতের বিশেষ পকসো আদালত । সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম সুজন দে । রাজ্য পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বলা হয়েছে, স্ত্রী এবং তিন মেয়েকে হাবড়ার বাড়িতে রেখে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন উত্তম সাহা। বড় মেয়ে জন্ম থেকেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ডাউনস সিন্ড্রোম-এর শিকার। ২০২২ সালের জুন মাস, বড় মেয়ের বয়স যখন প্রায় ১৬, সেই সময় উত্তমবাবু জানতে পারেন, মেয়ের মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে হাবড়ায় তাঁদেরই পাড়ার সুজন দে নামের এক ব্যক্তি একাধিকবার যৌন নির্যাতন চালিয়েছে তাঁর মেয়ের উপর। শুধু তাই নয়, মেয়েকে শাসিয়ে রেখেছে, মুখ খুললে ফল ভালো হবে না।
আরও লেখা হয়েছে,সেই মাসের ২৯ তারিখ হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উত্তমবাবু। পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় তদন্ত শুরু করেন সাব-ইনসপেক্টর রামকৃষ্ণ গুরিয়া। জানা যায়, আসলে বাংলাদেশের নাগরিক অভিযুক্ত সুজন দে। যথাসময়ে চার্জশিট দাখিল হয়, বারাসাতের বিশেষ পকসো আদালতে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর শ্যামলকান্তি দত্তর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় বিচারপর্ব। সেই মামলায় রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি। সুজন দে’কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন আদালত।।

