এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৯ জুলাই : কর্মসূত্রে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে থাকতে হত পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বামশোর গ্রামের বাসিন্দা সেখ আনিস নামে এক যুবককে । গত সোমবার(৭ জুলাই) সেখানে তিনি মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন । তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে৷ প্রথমে তাকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু যুবকের হতদরিদ্র পরিবার চিকিৎসার খরচ জোটাতে পারেননি । বাধ্য হয়ে তারা সেখ আনিসকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন । বর্তমানে কোমায় রয়েছেন ওই যুবক । এদিকে তাকে বাঁচাতে ফেসবুক পোস্ট করে সাহায্যের জন্য কাতর আবেদন জানিয়েছেন পরিবার৷
রাজু মল্লিক নামে জনৈক এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন যুবকের ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়ে লিখেছেন,নিচে যে ছেলেটির ছবি দেওয়া আছে তার নাম সেখ আনিস । বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার বামশোর গ্রামের বাসিন্দা এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি । গতকাল (৭ জুলাই ২০২৫) দুর্গাপুরে কাজের সূত্রে গিয়ে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ভয়ংকর ভাবে আহত হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং ব্রেইনে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। প্রথমে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারার কারণে এখন তাঁকে বর্ধমানের BIMC হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ তিনি লিখেছেন,’চিকিৎসার খরচ ইতিমধ্যেই অনেক বেশি হয়ে গেছে, যা তাদের আয়ত্তের বাইরে। পরিবার যা কিছু সঞ্চয় করেছিল, সব প্রায় শেষ। আত্মীয়-স্বজনদের থেকে সীমিত সাহায্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।’
তিনি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতি আবেদন জানিয়ে লিখেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করছি—যার পক্ষে যতটা সম্ভব আর্থিক সহযোগিতা করুন ।’ পাশাপাশি সাহায্যে অর্থ পাঠানোর জন্য তিনি বারকোডে ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর শেয়ার করে লিখেছেন,’টাকা পাঠিয়ে অনিশের পাশে দাঁড়ান ।পাঠানোর সময় মেসেজ এ আনিস (Anish)বলে লিখে দেবেন যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।আপনার একটি ছোট সহানুভূতি একটি জীবন রক্ষা করতে পারে। দয়া করে একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনাদের সহযোগিতাতেই এই ভাইটি সুস্থ হয়ে উঠবে, এই আশা রাখি ।’ তিনি একটি মোবাইল নম্বরও(7047643930) শেয়ার করেছেন ।
জানা গেছে,চিকিৎসাধীন যুবক সেখ আনিসের বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা নাজিমা বিবি ও এক ভাই । মূলত তার রোজকারেই তিনজনের সংসার চলে । এমতাবস্থায় দুর্ঘটনায় আনিসের জীবন সংশয়ের মুখে পড়ায় কার্যত পথে বসেছে পরিবারটি ।।

