এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,২১ আগস্ট : ‘আজ যদি জঙ্গলমহল বা উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায় তার সমস্ত দায়দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । ৭৫ বছর দেশ স্বাধীন হয়েছে । কেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি ? কেন এখানকার মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা,চাকরির জন্য, পেটের জন্য বাইরে যেতে হবে ? কেন হাসপাতাল নেই ? কেন ভালো স্কুলকলেজ নেই ? কেন কলকারখানা নেই, জীবিকার ব্যাবস্থা নেই ?’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘জঙ্গলমহলেও একই অবস্থা । এখনও ওখানকার মা-বোনেরা শাল পাতা কেন্দ পাতা নিয়ে এসে জীবন জীবিকা করেন । কে তাঁদের চাকরির জিন্য রাঁচি,উড়িষ্যা,গুজরাটে যেতে হচ্ছে ? দেশের স্বাধীনতার,উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার কি তাঁদের নেই ?’
এরপরেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিকে ‘নাজায়েজ নয়’ বলে কার্যত সমর্থন জানান দিলীপ ঘোষ । তিনি বলে, ‘জন বার্লা একজন জন প্রতিনিধি । যারা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ।’ তবে তিনি জানান, এনিয়ে পার্টির ‘স্ট্যান্ড পার্টি ভেবে দেখবে’ ।
এরপর দিলীপবাবু বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি তো অনেক বছর ধরে উঠছে । দিদিমনি তাঁদের সঙ্গে সমঝোতা করে সরকারও চালিয়েছেন । তখন এই প্রশ্ন ওঠেনি ? উনি গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে জিইয়ে রেখে জিটিএ-তে সই করেছিলেন। তখন প্রশ্ন ওঠেনি ? তখন ঠিক ছিল ! আর আমরা যখন লোকের আওয়াজকে তুলে ধরছি, তখন আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে গেলাম ?’
শনিবার উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ি,জলপাইগুড়ি প্রভৃতি একাধিক জায়গায় ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি । ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য শনিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে নামেন । জলপাইগুড়ি রওনা হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন । তিনি রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন । দিলীপবাবুর কথায়, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হবে না বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না, একটা গনতান্ত্রিক দেশে এটা কখনই কাম্য নয় ।’ রাজ্যে নয়া তালিবানি শাসন চলছে বলে তিনি কটাক্ষ করেন । পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস শুধুমাত্র গুন্ডা এবং অসামাজিকদের নিয়ে চলছে । এখন রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছেন তৃণমূলকে ভোট দিয়ে তাঁরা ভূল করেছেন ।’।