এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০২ জুলাই : তথাকথিত অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ইসলামি শরিয়া শাসন লাগু করার লক্ষ্যে এগুচ্ছে । ইউনূসকে সামনে রেখে কট্টর মৌলবাদী দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি), জামাত ইসলামি ও লেবানন ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিযবুত তাহরির একশ শতাংশ মুসলিম রাষ্ট্র করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের প্রধান লক্ষ্য হল বাংলাদেশকে সংখ্যালঘু হিন্দু । ধর্ষণ বা গনধর্ষণ,খুন,মন্দিরে হামলা,স্থাবর সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়ার ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে বাংলাদেশে । একারনে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহম্মদ ইউনূসের নামকরণ করেছেন “মোল্লা ইউনূস” ।
বিগত ৬ মাসে বাংলাদেশের নারী নির্যাতনের ঘটনার চমকে দেওয়ার মত একটা পরিসংখ্যান সামনে এসেছে । রিপোর্ট অনুযায়ী,চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে ৭৩৬ জন কন্যাশিশুসহ মোট ১৫৫৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারমধ্যে ৩৪৫ জন শিশুসহ ৪৮১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ৬২ জন শিশুসহ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০৬ জন নারী এবং ১০ জন শিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭ জন নারীকে। এছাড়া গত ৬ মাসে ৩৫ জন শিশুসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৫১ জন নারী। ২৫ জন শিশুসহ যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন ৩৪ জন নারী। ৬১ জন শিশুসহ হত্যার শিকার হয়েছে ৩২০ জন নারী। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদন (জানুয়ারি–জুন) এ তথ্য জানানো হয়েছে। ১ জুলাই গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন পাঠায় মহিলা পরিষদ। প্রতিবেদনে জুন মাসের নারী ও কন্যা নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়। আর নির্যাতিতাদের সিংহভাগই হল হিন্দু সম্প্রদায়ের ।
মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিমাসে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে ৮৭জন কন্যাশিশু এবং ১১৬ জন নারী (মোট- ২০৩ জন) নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৩ জন শিশুসহ ৬৫ জন নারী। তার মধ্যে ৫ জন শিশুসহ ৮ জন নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২ জন শিশুসহ ৩ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৭ জন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুন মাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ৫ জন নারী। তার মধ্যে ২ জন শ্লীলতাহানির কারণে আত্মহত্যা করেছেন। বিভিন্ন কারণে ১৩ জন শিশুসহ ৬৮ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ২ জন শিশুসহ ১১ জন নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন নারী। ৩ জন নারী অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন, তারমধ্যে ২ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ জন নারী। পারিবারিক সহিংসতায় ৬ জন নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৬ জন শিশুসহ ২২ জন নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২ জন শিশু অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। ১ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২ টি। এছাড়া ৭ জন শিশুসহ ৯ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যদিও এর বাইরে এমন বহু ঘটনা আছে যেগুলি প্রচারের আলোয় না আসায় ওই পরিসংখ্যানে ঠাঁই হয়নি ।।

