এইদিন ওয়েবডেস্ক,ডেনমার্ক,০২ জুলাই : ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে তিনি চোখ বাদে নিকাব বা পুরো মুখ ঢাকা বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবেন এবং ডেনিশ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রার্থনা কক্ষ বন্ধ করে দেবেন ।ডেনিশ সংবাদ সংস্থা রিটজাউকে ফ্রেডেরিকসেন বলেন,”ঈশ্বরকে পথ ছেড়ে দিতে হবে । মানুষের ধর্ম বিশ্বাস করার এবং পালন করার অধিকার আছে, কিন্তু গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ।”
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “আমিও একজন নারী। এবং আমি নারীদের উপর নির্যাতন সহ্য করতে পারি না। ডেনিশ মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক ধর্মীয় অভিব্যক্তির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও স্থান নেই ৷ যে অভিবাসীরা ডেনমার্কের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না তাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত ।” তিনি বিশ্বাস করেন যে ডেনমার্কের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে “মুসলিম সামাজিক নিয়ন্ত্রণ” রয়েছে যা “নারীদের উপর নিপীড়নের” দিকে পরিচালিত করে, আইনগত ফাঁকের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ডেনমার্কে জনসমক্ষে বোরখা এবং নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়। মুখ ঢাকা নেকাব ও আপাদমস্তক ঢাকা হিজাব নিষিদ্ধ করার একটি আইনও কার্যকর করা হয়। যে কেউ মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরলে, যেমন পুরো মুখ ঢাকা বোরকা, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে । আইনের সমালোচকরা যুক্তি দেন যে এটি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নারীদের স্বাধীন পছন্দের উপর লঙ্ঘন করে।
এখন প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এই নিষেধাজ্ঞা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রসারিত করার লক্ষ্য রেখেছেন। ফ্রেডেরিকসেন এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রার্থনা কক্ষগুলি বাতিল করার পরিকল্পনাও করেছেন, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ না করেই। তিনি চান শিক্ষামন্ত্রী ম্যাটিয়াস টেসফায়ে এবং ক্রিস্টিনা এগেলুন্ড যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রার্থনা কক্ষ থাকা উচিত নয় এবং একটি সম্মিলিত সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।ফ্রেডেরিকসেন জোর দিয়ে বলেন,”আমরা এগুলো চাই না কারণ এগুলো মেয়েদের প্রতি এবং সম্ভবত ছেলেদের প্রতিও নিপীড়নের প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।”।

