এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০২ জুলাই : বাংলাদেশের কুমিল্লার গণধর্ষণ কাণ্ডের পর এবার বরিশাল থেকে উঠে এল এক শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। শনিবার ভোর রাতে বরিশাল-ভোলা হাইওয়ের ধারে তালুকদারহাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক হিন্দু মহিলাকে। যাঁর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল রাস্তায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দেহের অর্ধেক অংশ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অনেকেই প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো কোনও মহিলার দেহ ওইভাবে রাস্তায় পড়ে আছে। সেই ভেবেই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ এসে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, আশ্চর্যজনকভাবে তখনও তিনি বেঁচে আছেন। সঙ্গে সঙ্গেই বরিশালের শের-এ-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ অ্যাসিডে পুড়ে গিয়েছে।পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, নির্যাতিতা হিন্দু সম্প্রদায়ের। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তাঁকে গনধর্ষণের পর খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই কারণেই পলিথিনে মুড়ে ফেলে রেখে যাওয়া হয় রাস্তার ধারে। বরিশাল বন্দর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে । এই ঘটনার দু’দিন আগে কুমিল্লায় এক হিন্দু তরুণীর ঘরে ঢুকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার করা হয় বিএনপি নেতাসহ ৫ জনকে। তারপরই বরিশালের এই ঘটনা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, গত বছর আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় থেকে ইসলামি মৌলবাদীদের দাপট বেড়েছে বাংলাদেশে। দেশ জুড়ে চলছে চুড়ান্ত নৈরাজ্য । আর ইসলামি মৌলবাদীদের নিশানায় মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসনের আমলে লাগাতার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। প্রশাসনের তরফে বারবার পদক্ষেপের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে প্রতিফলন ঘটেনি। আর তা নিয়েই বার বার উঠছে প্রশ্ন। হিন্দুদের জীবন এখন তীব্র অনিশ্চয়তার মুখে বাংলাদেশে ।।

