এইদিন ওয়েবডেস্ক,২০ আগস্ট : রহস্যে পরিপূর্ণ এই জগৎ । তার মধ্যে কিছু রহস্যভেদ করতে সফল হয়েছে মানুষ । তবে এখনও কিছু বিষয় রহস্যের চাদরে মোড়াই থেকে গেছে । বিশ্বের এমন কিছু অমীমাংসিত রহস্যের মধ্যে অন্যতম ‘ডার্ক ম্যাটার’ । আর ডার্ক ম্যাটারের মতই রহস্যময় একটি ২৪০ পৃষ্ঠার বই । দুর্বোধ্য ভাষায় লেখা ওই বইটির পাঠোদ্ধার দীর্ঘ প্রায় ছয় শতাব্দী পরেও কেউ করতে পারেনি । শুধু ভাষাই দুর্বোধ্য নয়,বইটিতে অদ্ভুত রকমের গাছপালা আঁকা হয়েছে । যে গাছের অস্তিত্ব পৃথিবীতে আদপেই নেই ।
জানা যায়, বইটি ১৯১২ সালে কিনেছিলেন প্রাচীন বই বিক্রেতা উইলফ্রিড ভয়েনিখ । তবে লিথুয়ানিয়ার টেলসিআই শহরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বইটি কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন তা তিনি আমৃত্যু জানিয়ে যেতে পারেননি । গোটা বইটি হাতে লেখা । ইতিহাসবিদদের মতে, বইটি প্রায় ৬০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন । কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ১৫-১৬ শতাব্দীর মধ্যে লেখা হয়েছিল বইটি । বইটির কোনও কোনও পাতায় প্রহেলিকাময় শব্দের পাশাপাশি মানুষ ও গাছপালার একাধিক রঙীন ছবি আঁকা হয়েছে । তবে বইয়ে আঁকা গাছপালার সঙ্গে পৃথিবীর গাছপালার সঙ্গে কোনো মিল নেই । বইটি আবিষ্কারের পর পর পণ্ডিত ও বিজ্ঞানীরা পাঠোদ্ধার করার আপ্রা চেষ্টা চালিয়েছিলেন । কিন্তু বইটিতে কী লেখা রয়েছে ও কোন ভাষায় লেখা,তা আজ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেননি । আজও রহস্যের চাদরে মোড়া থেকে গেছে ওই বইটি ।
জানা যায়, রহস্যময় বইটিতে অনেক পাতা ছিল । কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পাতাগুলো নষ্ট হচ্ছে। এই মুহূর্তে বইটিতে মাত্র ২৪৬ টি পাতা রয়েছে ।
লিথুয়ানিয়ার ওই বই বিক্রেতা উইলফ্রিড ভয়েনিখের নামেই পরে বইটির নামকরণ করা হয় । নাম দেওয়া হয় ‘ভয়নিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’ (Voynich manuscript)
বা ‘ভয়েনিখ পাণ্ডুলিপি’ । অনেকের মতে বইয়ের লেখক ইচ্ছা করেই প্রহেলিকাময় ভাষায় বইটি লিখেছিলেন যাতে কেউ রহস্যভেদ করতে না পারেন । তবে প্রহেলিকাময় শব্দের পাশাপাশি কিছু কিছু ল্যাটিন ও জার্মান ভাষাও ব্যাবহার করেছেন লেখক । এখন বইটির অদ্ভুদ ভাষার রহস্যভেদ কবে হয় সেটাই দেখার । আর তখনই জানা সম্ভব হবে বইয়ের লেখকের আসলে বক্তব্য কি ছিল ।।
ছবি সৌজন্যে গুগুল ।