প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ আগষ্ট : তৃণমূল পরিচালিত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন খোদ তৃণমূলেরই বিধায়ক। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই এমনটা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতে । এলাকার জাহান্নগর ও দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে ভূয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তবে শুধু অভিযোগ আনাই নয়,দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করে বিধায়ক ব্যবস্থা গ্রহনেরও আর্জি জানিয়েছেন। যদিও বিধায়কের আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দুটি পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে , জাহান্নগর ও দোগাছিয়া পঞ্চায়েত দুটি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার পূর্বস্থলী ১ ব্লকে অবস্থিত । জেলা শাসক ও জেলাপরিষদ সভাধিপতির কাছে দায়ের করা অভিযোগে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জাহান্নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে উচ্চহারে ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের ’ই-টেন্ডার’ না করে এই পঞ্চায়েতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়’ । অন্যদিকে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিধায়কের অভিযোগ , এই পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে আর্থিক দুর্নীতি করে। এই পঞ্চায়েতও উন্নয়ন কাজের ই- টেন্ডার না করে
নির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয় । বিধায়কের অভিযোগ পশ্চিম মুদাফরে ১ হাজার লেবারের কাজ না হলেও ৬ হাজার লেবার কাজ করেছে দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে“।এই সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ।
যদিও বিধায়কের আনা এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহান্নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ বলেন,“কেউ বিধায়ককে ভুল বুঝিয়েছেন ।তাই তিনি এইসব অভিযোগ আনছেন । উনি চাইলে পঞ্চায়েতে এসে যে কোন বিষয়ে সবিস্তার তথ্য নিজে দেখে যেতে পারেন“ । অপর দিকে দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান ইলিজা শেখ দাবি করেন, ‘অভিযোগ সত্য নয় । ১০০ দিনের কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি“। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ,অভিযোগের বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখা হবে ।।