এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ জুন : আজ সোমবার নজিরবিহীন ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা । স্পিকার বিমান ব্যানার্জি চার বিজেপি বিধায়কের সাসপেন্ড করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষে । হাতাহাতি থেকে শুরু করে চেয়ার-মাইক-লাইট ভাঙচুর করা হয় । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার । পরে ক্ষিপ্ত বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান । গেটের সামনে ধর্ণায় বসে সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেন ।
পরে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের ঝামেলা বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীরা করেছে, বারুইপুরের লোকজন, তৃণমূলের এজেন্ট । সমস্ত প্রমাণ গুছিয়ে রাখা আছে । সভ্যতা, ভদ্রতা, শিষ্টাচার প্রভৃতি সবকিছু সীমা অতিক্রম করেছে এরা । ৩০ টা লোক নিয়ে এখানে পার্থ চ্যাটার্জি বসে থাকতো । সেখানে ২৩৫ টা বিধায়ক নিয়ে বামপন্থীরা এসব কাজ করেনি ।’ শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে তাকে বিধানসভার ভিতরে আটকে রাখা হয়েছিল । তিনি বলেন, ‘আমি যখন ভাঙা জিনিসপত্রগুলো দিই তখন স্পিকার ঘোষণা করলেন যে যে সমস্ত বিজেপি বিধায়করা মাইক ভেঙেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব । তারপরে আমি দাঁড়িয়ে স্পিকারকে বললাম আপনি এক পক্ষের কথা শুনেছেন আমাদের বিধায়করা ও মার খেয়েছে । তখন স্পিকারকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে বললেন যে নিরাপত্তা রক্ষীরাও মার খেয়েছে । আমাদের বিধায়করা নাকি নিরাপত্তা রক্ষীদের মেরেছে৷ আমি স্পিকারের টেবিলে বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলার প্রমাণ দিয়ে এসেছি-সুব্রত মৈত্রের ঘড়ি শান্তনু প্রামানিক এবং সংকর ঘোষের ভাঙ্গা চশমা । পাল্টা ডকুমেন্ট তৈরির কাজ চলছে । তবুও আমরা জানি যে এরা কিছু করবে না । আমরা আমাদের প্রতিবাদ রেকর্ড করিয়ে রাখলাম ভবিষ্যতের জন্য ।’
জানা গেছে,আজ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন, মনোজ ওঁরাওকে এই অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার বিমান ব্যানার্জি । পরে বিজেপি বিধায়করা যখন বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে গাড়ি বারান্দায় ধরনা বসেছিলেন, তখন শুভেন্দু একাই অধিবেশন কক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন । সেই সময় তিনি স্পিকারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান । শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, স্পিকারে আমাকে প্রথমে বললেন বেরিয়ে যান। তারপর নিরাপত্তারক্ষী ডেকে বলছেন, ওকে বার করে দাও। এরপর কুড়িজন মহিলা নিরাপত্তা লক্ষ্মী আমাকে ঘিরে রাখে । ওরা চেয়েছিল যাতে আমি মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করি । ওদের এই উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি আমার দুটো হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখি। আমি ঠিক করেই রেখেছিলাম যে আমি হাত বার করব না। আমি চাই, যাতে ধাক্কা মেরে আমাকে বার করে দেওয়া হোক ।’।

