এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১৮ আগস্ট : মাস তিনেকের ছাগ শিশুর মা মারা গেছে । এদিকে এক গাভি হারিয়েছে তার সদ্যজাত সন্তানকে । এখন সন্তানহারা গাভী মাতার স্নেহেই প্রতিপালিত হচ্ছে মা’হারা ছাগ শিশু ৷ অন্যদিকে ছাগ শিশুটিকে পেয়ে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা ভুলেছে গাভি মা । দুই ভিন্ন প্রজাতির পশুর এহেন অপত্যস্নেহের নজির দেখতে পাওয়া গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ধালসোনা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ঘোরি চৌধুরীর বাড়িতে । গাভি মায়ের দুধ খেয়েই এখন বড় হচ্ছে মা’হারা ছাগশিশু ।
ধারসোনা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ঘোরি চৌধুরী পেশায় প্রান্তিক কৃষক। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ ও এক নাতি। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওই কৃষক বাড়িতে গোরু ও ছাগল প্রতিপালন করেন । মহম্মদ ঘোরি চৌধুরী জানান,মূলত নাতি নূর আলম চৌধুরীর জন্যই বাড়িতে তিনি গাভী পুষেছেন । নাম রেখেছেন ‘সোহাগী’ । মাস পাঁচেক আগে সোহাগীর বাছুর হয়েছিল। দুদিনের মধ্যেই বাছুরটি মারা যায় । এছাড়া রয়েছে একটি মাস তিনেকের পুরুষ ছাগলছানা । তার নাম দিয়েছেন ‘ভোদল’ । ওই ছাগল ছানার জন্মের কয়েকদিন পরেই তার মা মারা যায় ।
মহম্মদ ঘোরি চৌধুরীর কথায়, ‘আমরা ভেবেছিলাম ছাগল ছানাটা বোধ হয় মারা যাবে । কিছু খেত না । দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ছিল । তারপর একদিন গোয়ালে গিয়ে হঠাৎ দেখতে পাই ছাগলের বাচ্ছাটি গোরুটির দুধ খাচ্ছে । আর আমার গোরুটিও পরম স্নেহে ছাগলটাকে দুধ দিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তারপর থেকে খিদে পেলেই ভোদল ছুটে যায় সোহাগীর কাছে। আর সোহাগীও ভোদলকে ছাড়া থাকতে চায় না।’ মহম্মদ ঘোরি চৌধুরী জানান বাড়িতে তার নাতির জন্য যেটুকু দুধের প্রয়োজন সেইটুকু দুধ দোওয়ানোর পর বাকিটা ভোদলের জন্য বরাদ্দ থাকে ।।