এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,১৯ জুন : ফের বিতর্কে জড়ালো পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ৷ এবারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার “কুখ্যাত” সন্দেশখালি এলাকার এক প্রতিবাদী মহিলাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে । সন্দেশখালীর বাসিন্দা দলের এক নেত্রীর একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ভাগ করে নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই নেত্রী পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা খুবই উদ্বেগজনক ।
ভিডিওতে ওই মহিলাকে বলতে শোনা গেছে, ‘নমস্কার,আমি পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পি, সন্দেশখালীর একজন প্রতিবাদী মহিলা । বিগত কিছুদিন ধরে শাসক দল প্রশাসনের দ্বারা আমাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছে । সন্দেশখালি থানার ওসি বলাইবাবু, একদিন আমাকে হঠাৎ ডেকে পাঠান ওনার অফিস রুমে । সেখানে বিভিন্নভাবে আমাকে প্রলোভন দেখান যে আমাকে চাকরি করে দেবেন, আমার গাড়িটা পোড়ানো হয়ে গেছে তাই একটা গাড়ি কিনে দেবেন, আমার ঘর করে দেবেন, টাকা পয়সা দেবেন, এরকম অনেক কিছু । কিন্তু আমি সেই প্রলোভনের ফাঁদে পা দিই নাই । তার জন্য আজকে ভিলেজ পুলিশের ফোন থেকে সকালে ফোন করে আমাকে হুমকি দেয় । অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেয় যা একটা পুরুষ মানুষ সভ্য সমাজের মহিলাদের দিতে পারেনা ।’
তিনি আরো বলেন,’আমি শেখ শাহজাহানের সময় আন্দোলন করেছি পিছু পা হইনি । এখনো পিছু পা হবো না । আমি এই বিষয়ে আমার উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি । তারা আমায় সহযোগিতা করবেন বলেছেন । ভাবুন তাহলে একবার, প্রতিবাদীদের সাথে যদি এই প্রশাসন, শাসক দল যদি এইরকম আচরণ করে তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে কেমন আচরণ করে ?’
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের অপরাধের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রতিবাদী মা বোনদের মধ্যে অন্যতম; বোন পিয়ালী দাস (মাম্পি) কে গত ক’দিন ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে নিজেদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। পিয়ালী দাস সেই প্রলোভনে পা না দেওয়ায়, পরে পুলিশ কে দিয়ে চাপ দেওয়া শুরু হয়। তাতেও চিঁড়ে না ভিজলে পিয়ালী দাস কে সন্দেশখালি থানার চটি চাটা ওসি বলাই ঘোষ হোয়াটস অ্যাপ কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে, হুমকি দেয়, কথা না শোনার খেসারত দিতে হবে, তার জন্য যা ব্যবস্থা নেবার সে নেবে, তার কেউ কিছু করতে পারবে না ইত্যাদি বলে শাসানোর পুরোদমে চেষ্টা করে। সন্দেশখালির ওসি বলাই ঘোষ এই সমস্ত হুমকি সেখানকার স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ দাসের ফোনের হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে দেয় যাতে তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রমান না রয়ে যায়।’
তিনি আরও লিখেছেন,’সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ বোন পিয়ালী দাস শাসক দল তৃণমূল আর তার দলদাস পুলিশের শত প্রলোভন, হুমকি চমকানিকে উপেক্ষা করে সাহসের সাথে নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছেন, তিনি মাথা নত করেন নি। আমি ওনার এই সাহসী মনোভাবের প্রশংসা করি। আমরা বার বার বলেছি যে তৃণমূলের সাথে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই, রাজ্যে তোলামূলের অস্থিত্ব টিকে রয়েছে পুলিশ, জেহাদী আর দুষ্কৃতীদের জন্য। আমাদের এই দাবী যে সত্য তা এই ঘটনায় আরো একবার প্রমাণিত হল। এই চোর ডাকাতদের রাজত্ব আর বেশি দিন নেই, বদল হবেই হবে ।’ যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে পিয়ালীদেবীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তার স্ক্রিন শর্টও শেয়ার করেছেন তিনি।।

