এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৬ জুন : ধর্মান্তরিত হয়ে নিকাহ করার আড়াই মাসের মাথায় মর্মান্তিক পরিণতি হল বাংলাদেশের ঢাকার পুষ্প রাণী দাসের । সুইসাইড নোট লিখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন ওই মেধাবী ছাত্রীটি । অবশ্য হত্যার অভিযোগে পারিবারিক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার ভাটারা থানা পুষ্পের স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে নিহতের মামা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের শুকলাল দাসের তিন সন্তানের বড় পুষ্প রাণী দাস । মেয়েটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন পুষ্প রাণী । দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় খুলনায় টিউশনি করে আর কলেজ শিক্ষক মামার সহযোগিতায় কোনো রকমে পড়াশোনা শেষ করেন পুষ্প রাণী । পার্ট টাইম ঢাকার রুপান্তরে কাজ, ফুলটাইম দলিত এনজিওতে কাজ করেছেন তিনি। বার কাউন্সিলের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছিলেন পুষ্প।
জানা গেছে,পড়াশোনা চলাকালীন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের এক মুসলিম ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুষ্প রাণীর । ছেলেটির বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। আড়াই মাস আগে ধর্মান্তরিত হয়ে প্রেমিককে নিকাহ করেন পুষ্প রাণী । কিন্তু মেয়ে মুসলিমকে বিয়ে করায় তরুনীর পরিবারের মেনে নিতে পারেনি । যেকারণে বিয়ের পর পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার । এদিকে দলিতের চাকুরি ছেড়ে ঢাকায় ঘর ভাড়া করে স্বামীর সাথে সংসার শুরু করেন পুষ্প রাণী । কিন্তু মাত্র আড়াই মাসের মাথায় গত ১৪ জুন শনিবার দিবাগত রাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এই মেধাবী মেয়েটি । রবিবার (১৫ জুন) রবিবার পুষ্পের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের একটি শ্মশানে। তার আগে ঢাকায় তার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।।

