এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৬ জুন : পথ কুকুরকে নৃশংসভাবে হাঁসুয়ার কোপ মারার ঘটনায় হামলাকারী ও প্রতিবেশী প্রতিবাদী পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার নলিয়াপুর গ্রামের ঘটনা । এনিয়ে প্রতিবাদী খোকন দাস কেতুগ্রাম থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে৷ তার অভিযোগ,ওই পথ কুকুরটিকে তার প্রতিবেশী সুরজিৎ দাস নৃশংসভাবে হাঁসুয়া দিয়ে কোপায় । প্রতিবাদ করতে গেলে সুরজিত ও তার পরিবারের লোকজনদের মিলে তাদের মারধর করে । যদিও মারধরের পালটা অভিযোগ দায়ের করেছে সুরজিত৷ আজ সোমবার কেতুগ্রাম থানার পুলিশ দুই পক্ষকেই থানায় তলব করেছে।
জানা গেছে, নলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন দাস পেশায় জনমজুর। তার বাড়ির আশপাশেই থাকে কালো রঙের ওই কুকুরটি । খোকনবাবুরা কুকুরটিকে রোজ খাবার দেন । অন্যদিকে সুরজিৎ দাসও জনমজুরে কাজ করেন । পাশাপাশি গরু-ছাগলও প্রতিপালন করেন তিনি । ঘটনাটি ঘটে দিন চারেক আগে ।
জানা গেছে,গবাদি পশুগুলিকে রোজ সকালে মাঠে চড়াতে নিয়ে যান সুরজিৎরা । আর খোকন দাসদের বাড়ির সামনে দিয়েই যেতে হয় । গরু ও ছাগলের দলে থাকে ওদের বাড়ির পোষা তিনটি কুকুর। বৃহস্পতিবার সুরজিৎ গরু ও ছাগল নিয়ে মাঠে চড়াতে যাওয়ার সময় ওদের তিনটি কুকুর খোকনবাবুদের কুকুরের উপর হামলা করে । সেই সময় কাছে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে খোকনবাবুদের কুকুরকে নৃশংসভাবে কোপায় সুরজিৎ । হাঁসুয়ার কোপে জখম কুকুরটি রক্তাক্তবস্থায় ছটফট করতে থাকে । কুকুরটির আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন খোকনবাবুরা । প্রতিবেশীদের সাহায্যে তারা কুকুরটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা করাতে কাটোয়া শহরে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান তারা ।
জানা গেছে,সেই ঘটনার জের ধরে খোকনবাবুর স্ত্রী ও নিয়তিদেবী ছেলে সুরজিতের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ । ফলে দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। স্থানীয়রা এসে ছাড়িয়ে দেয় । পরে দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করে । কিন্তু একটা অবলা প্রাণীর সঙ্গে এই প্রকার নৃশংসতার জন্য সুরজিৎ দাসের তীব্র সমালোচনা করেছেন সকলে ।।

