এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৩ জুন : বৃহস্পতিবার রাতে দুই মেয়ের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা জবা চৌধুরী (৩৭) নামে এক বধূর । তারপর মেয়েদের উপর অভিমান করে তিনি বাড়ি ফেরেননি । মেয়েরা থানায় খবর দিলে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই বধূকে কাটোয়ার দেবরাজ ঘাট দিয়ে গঙ্গার নদীর দিকে এগিয়ে যেতে দেখে । কিন্তু ফুটেজে তাকে আর ফিরতে দেখা যায়নি । বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন ধরে নিয়েই আজ শুক্রবার সকাল থেকে নদীতে শুরু করে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ । কিন্তু এখনো পর্যন্ত মহিলার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,কাটোয়ার স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা জবা চৌধুরীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে সুমনা স্নাতক । ছোট মেয়ে সানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাঠরতা। তার স্বামী শ্যামসুন্দর চৌধুরী কলকাতায় একটি সংস্থায় কাজ করেন । কর্মসূত্রে সেখানেই থাকেন তিনি । মাঝেমধ্যে বাড়ি আসেন । দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন জবাদেবী । সম্প্রতি কাটোয়ার একটি পোশাকের দোকানে কাজে লেগেছিলেন তিনি ।
বড় মেয়ে সুমনা বলেন,’বৃহস্পতিবার রাতে মায়ের সঙ্গে আমাদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় । আমরা তিনজনেই রাগারাগি করে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাই । ঘন্টাখানেক পর আমি ও সানিয়া বাড়ি ফিরে আসি । কিন্তু মা ফেরেনি । আমরা ফিরে আসার পরেই মা কে ফোন করলে বলেন ‘আমি বাড়ি ফিরছি’ । কিন্তু রাত সাড়ে বারোটা হয়ে গেলেও মা না ফেরায় ফের ফোন করি । তিনি ফের একই কথা বলেন । কিন্তু তারপর থেকে আর মাকে ফোনে পাইনি । ভেবেছিলাম রাগ কমলে মা ফিরে আসবেন । কিন্তু আজ ভোর পর্যন্ত মা না ফিরলে কাটোয়া থানায় বিষয়টি জানাই ।’
জানা গেছে,পুলিশ বধূর মেয়েদের কাছে ঘটনার কথা শুনে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে । তার মধ্যে একটা ফুটেজে ভোর ৩-৪০ মিনিট নাগাদ দেবরাজ ঘাট দিয়ে জবাদেবীকে যেতে দেখা যায় । এমনকি ভাগীরথী নদীর দিকে সিড়ি ধরে নামতেও দেখা গেছে । কিন্তু উঠতে দেখা যায়নি । পুলিশের সন্দেহ মেয়েদের সঙ্গে রাগারাগি করে অভিমানে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি ।।

