এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ জুন : দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মহেশতলায় বুধবার পুলিশ ও স্থানীয় হিন্দুদের উপর ব্যাপক হামলা হয়েছে ৷ হামলায় পুলিশ কর্মী সহ বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে ৷ আহতদের মূলত দাঙ্গাকারীদের ছোড়া ইঁট-পাথরের আঘাতে মাথা ফেটে গেছে । যে শিব মন্দিরের সামনে একটা দোকানকে কেন্দ্র করে হিংসার সূত্রপাত সেই মন্দিরেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছেন যে সমগ্র হামলা মহেশতলা থানার আইসি মুকুল মিঁয়া ও এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লার উপস্থিতিতেই চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহেশতলার হিংসার ঘটনার তদন্তভার এনআইকে দেওয়া, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকায় আধাসেনা মোতায়েন সহ একাধিক দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়িকরা । তার আগে বিজেপি পরিষদীয় দল বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করে যান ।
এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’গতকাল মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহেশতলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রনগর থানার কাছেই একটি শিব মন্দিরে দুষ্কৃতীদের একটি দল ন্যক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হিন্দুদের পবিত্র তুলসী মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। বিধর্মীদের হাতে মাতা তুলসী’র এই অপমান এবং হিন্দুদের উপর ক্রমাগত আক্রমণের প্রতিবাদে আজ বিধানসভা থেকে বিজেপি পরিষদীয় দলের সতীর্থ বিধায়কদের সাথে পদযাত্রা করে আজ রাজভবনে মহামান্য রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করলাম। আমাদের পক্ষ থেকে একটি পবিত্র তুলসী গাছ আমাদের মহিলা বিধায়কগণ মহামান্য রাজ্যপালের হাতে তুলে দিয়েছেন।’
এরপর তিনি দাবি করেছেন,’গতকাল রবীন্দ্রনগর থানার কাছেই আইসি মুকুল মিঁয়া ও এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লার উপস্থিতিতেই দুষ্কৃতীদের মন্দিরে হামলা চালানো, হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও ভাঙচুরের ঘটনা এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে মহামান্য রাজ্যপালকে আজ আমরা অবগত করেছি। মহামান্য রাজ্যপালকে জানিয়েছি এটাই তথাকথিত “ডায়মন্ড হারবার মডেল”।’
তিনি রাজ্যপালের কাছে দাবি করেছেন,’মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়কে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ করেছি। আমরা লিখিত আকারে ওনাকে চারটি দাবির কথা জানিয়েছি :
১: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকা সহ মেটিয়াবুরুজ ও অন্যান্য উপদ্রুত এলাকায় অবিলম্বে আধাসেনা মোতায়েন করা হোক।
২: কালকের ঘটনার তদন্তভার রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ কে হস্তান্তর করা হোক।
৩: রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঁয়া কে অবিলম্বে গ্রফতার করতে হবে, কারণ উনি সরাসরি শাসক দল তৃণমূলের সাথে যুক্ত। সেই সাথে যারা এই হামলা ও ভাঙচুরের সাথে যুক্ত তাদেরকেও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
৪: যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত হিন্দু পরিবার, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।।