প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ আগষ্ট : দুয়ারে সরকার কর্মসূচীত ’স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ডের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সোমবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় বর্ধমানের টাউনহলে । এদিন বর্ধমান শহরের টাউন হলে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে সব থেকে বেশী মানুষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য লাইনে দাঁড়ান । আবেদনপত্র জমা নিয়ে নতুন কার্ডও দেওয়া হচ্ছিল আবেদনকারীদের। ওই সময় লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে হঠাৎই দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বেঁধে যায়। পরে বচসা গড়ায় হাতাহাতি মারামারিতে ।তাতে এক মহিলা সহ ৩ জন আহত হন।আহতদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন ।এই ঘটনা দেখে লাইনে দাঁড়ানো অনেকে ভয়ে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন।খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। স্বাস্থসাথী কারডের লাইনে দাঁড়ানো সবাইকে বুঝিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। । এরপর টাউনহলে পুনরায় শুরু হয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর কাজ ।
এদিন টাউন হলে লাইনে দাঁড়ানো শহর বর্ধমানের বাসিন্দা প্রবীণা সবিতা দত্ত ,যুবক রাহুল মণ্ডল প্রমুখরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় একাধীক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন । তার সুবিধা সবাই নিতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক । তবে এদিন টাউনহলে যে বিশৃঙ্খলা ঘটল তা কাম্য ছিল না ।আগামী দিনে ফের যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক থাকার দাবি জানিয়েছেন উপভোক্তারা ।
একই রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এদিন জেলার ভাতারের বলগোনা সারদামণি উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত শিবিরেও তৈরি হয় । এদিন ভোর থেকেই শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় করেন ওই বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকারের শিবিরে।লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য এখানের দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর প্রথম দিনে মহিলাদের ভিড় ছিল নজর কাড়া । বেলা দশটায় স্কুলের গেট খুলতেই ভিতরে ঢোকার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।ভিড়ের চাপ ঠেলাঠেলিতে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন ।তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে শুশ্রূষা করার ব্যবস্থা করা হয় ।
বলগোনা পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ শেখ বলেন,ভিড় বেশী হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ঘটনার পর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে পুলিশকর্মীরা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন।পরে আর কোন সমস্যা হয় নি । ভাটাকুলের বাসিন্দা ফতেমা বিবি বলেন, ’প্রতিটি গ্রামের স্কুলে শিবির করলে এত ভিড় ও হয়রানি হবে না।প্রশাসন তার ব্যবস্থা করলে
সবাই বিনা ঝঞ্ঝাটে ফর্ম জমা করার সুযোগ পাবেন’।ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন,“ প্রথম দিন বলে হয়তো সমস্যা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ যাতে কোন ভাবেই সমস্যায় না পড়েন,আবেদন করতে এসে কেউ যাতে বঞ্চিত না হন তারজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।’।