এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ জুন : স্মার্ট মিটার বসানোর পর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ৷ গ্রাহকরা অভিযোগ তুলতে শুরু করে যে স্মার্ট মিটার বসানোর পর বিদ্যুতের বিল লাগামছাড়া হয়ে গেছে ৷ এনিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছিল গ্রাহকরা । এদিকে সামনেই এরাজ্যের বিধানসভার ভোট । তাই স্মার্ট মিটার নিয়ে অসন্তোষ যাতে প্রবল আকার ধারন করতে না পারে সেজন্য বাড়ি বাড়ি স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগ । এতে ছোট্ট প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘বোঝো ঠ্যালা !’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী । যে ভিডিও-এর ব্যাকগ্রাউন্ডে তিনি জনপ্রিয় লোকসংগীত “ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না” সংযুক্ত করেছেন । বিদ্যুৎ বিভাগের ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তি’তে বলা হয়েছে,’বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার ইত্যাদির মতো জায়গায় সফলভাবে স্মার্ট মিটার লাগানোর পর তিন/ চারটি জেলায় কিছু সংখ্যক গার্হস্থ্য উপভোক্তার বাড়িতেও পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়।এমতাবস্থায়, কিছু অভিযোগ আসায় প্রয়োজন মোতাবেক পদক্ষেপ করার জন্য গার্হস্থ্য উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হল। বাড়িতে বাড়িতে আপাতত বসানো হচ্ছে না স্মার্ট মিটার।’
প্রসঙ্গত,স্মার্ট মিটার বসানোর পর প্রথম বিল দেখে চোখ কপালে উঠে যায় গ্রাহকদের । পূর্বের থেকে কয়েক গুণ বেশি বিল এসেছে বলে অভিযোগ তাদের ।সম্প্রতি হুগলির ব্যান্ডেলের এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর পরে এক মাসে ১২ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছে। ফলে স্মার্ট মিটার নিয়ে জমছিল অসন্তোষ । অঅভিযোগ তোলা হয় যে জোর করে প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবার বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। বেগতিক বুঝে আপাতত স্মার্ট মিটার বসানোর বন্ধ রাখলো রাজ্য সরকার । কিন্তু ইতিমধ্যেই স্মার্ট মিটারের কারনে যাদের বেশি বিল এসেছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট নয় । এই বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি ।।

