এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,০৫ জুন : একটা গ্রামে জনসংযোগে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ । কিন্তু গ্রামের বেহাল রাস্তার কারনে তাকে যে চরম অপ্রস্তুতে পড়তে হবে তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি । ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা জলভর্তি খানাখন্দে ভরা রাস্তার উপর দিয়ে মন্ত্রীকে হাঁটালেন । শুনতে হল বিস্তর অভিযোগ । ঘটনায় অপ্রস্তুত মন্ত্রী গ্রামবাসীদের মাঝেই নিজের মোবাইল ফোন থেকে জেলাপরিষদে কল করে অবিলম্বে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দেন । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার কোচবিহার জেলার দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকুরকচুয়া গ্রামে ৷
গতকাল জনসংযোগে বের হয়েছিলেন উদয়ন গুহ । তার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের ব্লক নেতারা । তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরছিলেন । কিন্তু দলবল নিয়ে মন্ত্রী যখন বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকুরকচুয়া গ্রামের একটা পাড়াতে ঢোকেন তখন তারা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছিলেন না । কারন রাস্তার মাঝ বরাবর ছিল একটা বিশাল গর্ত । তাতে আগের দিনের বৃষ্টির জল জমে টইটম্বুর হয়ে গেছে । ইতিমধ্যে মন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে যান । তাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা । তারা বেহাল রাস্তা নিয়ে মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন । পাশাপাশি গ্রামের বেহাল রাস্তা পরিদর্শনের জন্য তারা মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান । এরপর সেই বিশাল গর্তের একপ্রান্তে কাঠের একটা পাটাতন ফেলে মন্ত্রীকে রাস্তা পারাপার করানো হয় ।
স্থানীয় গৃহবধূ রজকিনী রায়-দে বলেন,আমাদের চলাচলের তেমন রাস্তা নেই ৷ একমাত্র যে রাস্তা আছে তাতে এক হাঁটু গর্ত হয়ে গেছে । ওই রাস্তা দিয়ে কখনো চলা যায় নাকি? আমাদের কোন আপদ বিপদ হলে যেতে পারি না। মন্ত্রীকে তো বললাম । উনি আশ্বাসও দিয়েছেন ।’ তার অভিযোগ,’বেশ কয়েকবার রাস্তাটা পরিদর্শন করা হয়েছিল । মাপ নিয়েও গিয়েছিল৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি ।’
এদিকে গ্রামের বেহাল রাস্তার জন্য কেন্দ্র সরকারের ঘাড়ে যাবতীয় দায় চাপিয়ে দিয়েছেন দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি আব্দুল সাত্তার । তার কথায়,’কেন্দ্র সরকার এনআরজিএস বন্ধ করার কারনে গ্রামীন রাস্তা গুলো ভয়াবহ হয়ে গেছে । কেন্দ্র সরকার যদি একশ দিনের কাজটা ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখত তাহলে আজ আমাদের মানুষের এই অভাব অভিযোগের কথা শুনতে হতো না । তাতেও আমরা চেষ্টা করছি যাতে এগুলো পূরণ করে দেওয়া যায় ।’ ‘গ্রামের রাস্তাঘাটের খুব বেহাল অবস্থা’ স্বীকার করলেও তার সাফাই,’মন্ত্রী তার দপ্তর থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে । কিন্তু উনি তো বিধানসভায় ডেভেলপমেন্টটা করবেন না । ওনাকে উত্তরবঙ্গে আটটি জেলার প্রতি প্রান্তে উন্নয়ন টা করতে হবে। একজন মন্ত্রী তার চার বছরের সময়কালে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন । রাস্তার কাজ চলছে । আরো দুটো রাস্তা টেন্ডার হয়ে গেছে । ২-৩ টে টেন্ডার হয়ে যাবে ।’।

