কর্তুরাজ্ঞয়া প্রাপ্যতে ফলম্ ।
কর্ম কিং পরং কর্ম তজ্জডম্ ॥ ১ ॥
কৃতিমহোদধৌ পতনকারণম্ ।
ফলমশাশ্বতং গতিনিরোধকম্ ॥ ২ ॥
ঈশ্বরার্পিতং নেচ্ছয়া কৃতম্ ।
চিত্তশোধকং মুক্তিসাধকম্ ॥ ৩ ॥
কাযবাঙ্মনঃ কার্যমুত্তমম্ ।
পূজনং জপশ্চিংতনং ক্রমাত্ ॥ ৪ ॥
জগত ঈশধী যুক্তসেবনম্ ।
অষ্টমূর্তিভৃদ্দেবপূজনম্ ॥ ৫ ॥
উত্তমস্তবাদুচ্চমংদতঃ ।
চিত্তজং জপধ্য়ানমুত্তমম্ ॥ ৬ ॥
আজ্যধারয়া স্রোতসা সমম্ ।
সরলচিংতনং বিরলতঃ পরম্ ॥ ৭ ॥
ভেদভাবনাত্ সোঽহমিত্যসৌ ।
ভাবনাঽভিদা পাবনী মতা ॥ ৮ ॥
ভাবশূন্যসদ্ভাবসুস্থিতিঃ ।
ভাবনাবলাদ্ভক্তিরুত্তমা ॥ ৯ ॥
হৃত্স্থলে মনঃ স্বস্থতা ক্রিয়া ।
ভক্তিয়োগবোধাশ্চ নিশ্চিতম্ ॥ ১০ ॥
বায়ুরোধনাল্লীযতে মনঃ ।
জালপক্ষিবদ্রোধসাধনম্ ॥ ১১ ॥
চিত্তবাযবশ্চিত্ক্রিয়ায়ুতাঃ ।
শাখয়োর্দ্বয়ী শক্তিমূলকা ॥ ১২ ॥
লযবিনাশনে উভযরোধনে ।
লযগতং পুনর্ভবতি নো মৃতম্ ॥ ১৩ ॥
প্রাণবংধনাল্লীনমানসম্ ।
একচিংতনান্নাশমেত্যদঃ ॥ ১৪ ॥
নষ্টমানসোত্কৃষ্টয়োগিনঃ ।
কৃত্যমস্তি কিং স্বস্থিতিং যতঃ ॥ ১৫ ॥
দৃশ্যবারিতং চিত্তমাত্মনঃ ।
চিত্ত্বদর্শনং তত্ত্বদর্শনম্ ॥ ১৬ ॥
মানসং তু কিং মার্গণে কৃতে ।
নৈব মানসং মার্গ আর্জবাত্ ॥ ১৭ ॥
বৃত্তযস্ত্বহং বৃত্তিমাশ্রিতাঃ ।
বৃত্তয়ো মনো বিদ্ধ্যহং মনঃ ॥ ১৮ ॥
অহময়ং কুতো ভবতি চিন্বতঃ ।
অয়ি পতত্যহং নিজবিচারণম্ ॥ ১৯ ॥
অহমি নাশভাজ্যহমহংতয়া ।
স্ফুরতি হৃত্স্বয়ং পরমপূর্ণসত্ ॥ ২০ ॥
ইদমহং পদাঽভিখ্যমন্বহম্ ।
অহমিলীনকেঽপ্যলযসত্তয়া ॥ ২১ ॥
বিগ্রহেংদ্রিযপ্রাণধীতমঃ ।
নাহমেকসত্তজ্জডং হ্যসত্ ॥ ২২ ॥
সত্ত্বভাসিকা চিত্ক্ববেতরা ।
সত্তয়া হি চিচ্চিত্তয়া হ্যহম্ ॥ ২৩ ॥
ঈশজীবয়োর্বেষধীভিদা ।
সত্স্বভাবতো বস্তু কেবলম্ ॥ ২৪ ॥
বেষহানতঃ স্বাত্মদর্শনম্ ।
ঈশদর্শনং স্বাত্মরূপতঃ ॥ ২৫ ॥
আত্মসংস্থিতিঃ স্বাত্মদর্শনম্ ।
আত্মনির্দ্বয়াদাত্মনিষ্ঠতা ॥ ২৬ ॥
জ্ঞানবর্জিতাঽজ্ঞানহীনচিত্ ।
জ্ঞানমস্তি কিং জ্ঞাতুমংতরম্ ॥ ২৭ ॥
কিং স্বরূপমিত্য়াত্মদর্শনে ।
অব্যয়াঽভবাঽঽপূর্ণচিত্সুখম্ ॥ ২৮ ॥
বংধমুক্ত্যতীতং পরং সুখম্ ।
বিংদতীহ জীবস্তু দৈবিকঃ ॥ ২৯ ॥
অহমপেতকং নিজবিভানকম্ ।
মহদিদংতপো রমনবাগিযম্ ॥ ৩০ ॥
যোগী পরিচয় :
রমণ মহর্ষির জন্ম ১৮৭৯ সালের ৩০শে ডিসেম্বর, তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে এক মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে । প্রয়াত হন ১৯৫০ সালের ১৪ই এপ্রিল তিরুভান্নামালাইয়ে । তিনি ছিলেন একজন হিন্দু দার্শনিক এবং যোগী যাকে “মহান গুরু”, “ভগবান” (প্রভু) এবং “অরুণাচলের ঋষি” বলা হত । তাঁর অবস্থান অদ্বৈতবাদ (ব্যক্তি আত্মার পরিচয় এবং আত্মার স্রষ্টা) এবং আদি শঙ্করের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। যোগ দর্শনে তাঁর মূল অবদান হল কৌশলবিচার (আত্ম-চিন্তা” জিজ্ঞাসা)।
রমণ মহর্ষি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন দক্ষিণ ভারতীয় ঋষি যিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আধ্যাত্মিক সাধকদের শান্তি এবং আত্ম-সচেতনতা বাণী।বিকিরণ করে চলেছেন। ১৮৯৬ সালে ষোল বছর বয়সী বালক হিসেবে, তিনি তাঁর সত্তার উৎস সম্পর্কে এক গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। পরবর্তীতে ভগবান শ্রী রমণ মহর্ষি হিসেবে সমাদৃত হয়ে তিনি আত্ম-অনুসন্ধানের অনুশীলনের সরাসরি পথ উন্মোচন করেছিলেন এবং মানবজাতিকে বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয়, পবিত্র অরুণাচল পাহাড়ের অপরিসীম আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পর্কে জাগ্রত করেছিলেন। ১৮৯৬ সালে তিনি অরুণাচলে চলে আসেন।দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাইতে “শ্রী রামানাশ্রম” নামে একটা আশ্রম রয়েছে এই মহান যোগী পুরুষের৷।

