এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৪ জুন : প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও গায়ক কবীর সুমনের বিরুদ্ধে ‘হিন্দু মহিলাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের’ জন্য দায়ের হল এফআইআর ৷ ‘জাতির কথা’ নামে একটি সংগঠনের তরফে এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন জয়জিৎ ভট্টাচার্য । লালবাজারের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ(ক্রাইম)-এর কাছে পাঠানো অভিযোগ পত্রের বিষয়বস্তু হল ‘১৯০, বৈষ্ণবঘাটা বাই লেন, নাকটোল, গড়িয়া, কলকাতা -৪৭-এর বাসিন্দা কবীর সুমনের বিরুদ্ধে প্রথম তথ্য প্রতিবেদন, বাঙালি (হিন্দু) সম্প্রদায় এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য’ ।
এইচ.বি. টাউন, সোদপুর, কলকাতা – ১১০-এর বাসিন্দা অভিযোগকারী জয়জিৎ ভট্টাচার্যের বক্তব্য হল, ‘কয়েক বছর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্য করেছিলেন এবং সম্প্রচারে বাঙালি মহিলাদের নির্যাতন করেছিলেন এবং পরবর্তী বছরগুলিতে কোনও অনুশোচনার চিহ্ন দেখাননি। কবীর সুমন অন এয়ারে বাঙালি মহিলাদের ধর্ষণের কথা গর্ব করে বলেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি হিন্দু ধর্ম এবং বাঙালি মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত একটি গুরুতর অপরাধ। তিনি বারবার ব্যাপকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন।’
তার অভিযোগ,কবীর সুমনের প্রথম থেকেই হিন্দু ধর্মের প্রতি চরম বিদ্বেষ রয়েছে। করোনার আগে ২০১৭-১৮ সালে পোস্টে লেখা…’হা গা…গায়ে গন্ধ বোকা, হিন্দু। এই নিয়ে আমরা যখন খড়দহ থানায় আমরা অভিযোগ করতে যাই, তখন অভিযোগ তো নেয়নি, উল্টে আমাদেরই নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। আমরা লড়াই করেছিলাম। কবির সুমন হিন্দু ধর্মকে অপমান করেছেন।’ তার বক্তব্য,’তিনি যত বড়ই হোন না কেন, ধর্মকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করতে পারো না। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা করেছিলেন, কারণ তারপরও ফেসবুকে পোস্ট ডিলিট করেননি।’
তার আরও অভিযোগ,’২০২২ সালে এক সাংবাদিক যখন তাঁকে ফোন করেন, তখন তিনি বলেছিলেন বাঙালির মাকে ধর্ষণ করি। মহিলাদের প্রকাশ্যে ধর্ষণ করার হুমকি দিলেন। দু-তিন বছর হয়ে গিয়েছে, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’
জাতির কথার ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে,’কবীর সুমনের বিরুদ্ধে “জাতির কথার” করা FIR গ্রহণ করলো লালবাজার থানা । লড়াইয়ের প্রথম ধাপে আজ জয় পেলো “জাতির কথা”! বিশেষভাবে উল্লেখ্য: আজ আমাদের ডাকে লালবাজারে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শিবসেনার (একনাথ শিন্ডে গ্ৰুপ) হিন্দুত্ববাদী আধিকারিকরা, এবং তাঁরা আবেগতড়িত হয়ে আমাদের পড়িয়ে দিলেন শিব সেনার গৈরিক উত্তরীয় । জয় মা কালী ।’।

